অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’...! তাই মায়ের মৃত্যুর পরেও শোকের পাহাড় বুকে চেপে দর্শকদের হাসি উপহার দিয়েছে 'মেরা নাম জোকার'-এর রাজু। কারণ, জীবনে যাই ঘটুক.... শো কখনও বন্ধ হয় না।


রিলের সার্কাসে শো বন্ধ হয়নি। রিয়েলের করোনা আবহেও একের পর এক শো করে চেলেছে অজন্তা সার্কাস! কোভিড মেনেই চলছে শো। শীত মানে মিঠে রোদ৷ শীত মানে কমলালেবু, পিকনিক, আর সার্কাস৷ 


আক্ষরিক অর্থেই ছড়ি হাতে বাঘ-ছাগলকে এক ঘাটে জল খাওয়াতেন রিং মাস্টার। কিন্তু পশু-জন্তুর খেলা নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভরসা এখন জিমন্যাস্টিকস, ট্রাপিজ বা ব্যালেন্সের খেলা। সঙ্গে আছে ঘোড়া, কুকুর পাখিরর দল। 


আগের মতো ভিড় না হলেও এখনও আসছেন অনেকে। পার্ক সার্কাস নয়, সিঁথির সার্কাস ময়দানে ডিসেম্বরের শেষে পড়েছে তাঁবু। চলবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। স্যানিটাইজেশনের জন্য মাঝে ২দিন শো বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। তারপর আবার খেলা শুরু। 


আরও পড়ুন, 'এমন দিন আসছে নেগেটিভরা বাড়িতে থাকবেন, পজিটিভরা মাস্ক পরে ঘুরবেন', আশঙ্কা চিকিৎসকের


অজন্তা সার্কাসের মালিক রবিউল হক বলেন, "রাজ কপূরের ছবিতে বলেছিলেন, শো মাস্ট গো অন। তাই আমরা মানি। যতই প্রতিকূলতা আসুক আমাদের শো চলবে। মোবাইলের সময়ে মানুষ মুখ ফিরিয়েছে। তার ওর করোনা পরিস্থিতির দাপট সেই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। তারপরেও শো হচ্ছে।"


শো চালিয়ে যাওয়ার মাঝেই দিন বদলের স্বপ্ন দেখেন সার্কাসের মালিকরা। রবিউল হকের কথায়, " শো চলবে। যাই পরিস্থিতি হোক। আমাদের বিশ্বাস একটা সময় আসবে, যখন মানুষে তাকাবেই।" একদিকে ডিজিটাল দুনিয়ার হাতছানি, আর একদিকে সময়ের কাঁটাকে দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়া করোনা! মাঝে পড়ে সঙ্কটে সার্কাস। তার পরেও টিকে থাকার জন্য নিজেকে টেনে নিয়ে চলে সে। খেলা দেখিয়ে চলেন শিল্পীরা।  ছবির গানের সঙ্গে যে তাঁদের জীবনের খুব মিল - ‘জিনা ইঁহা, মরনা ইঁহা, ইসকে সিবা জানা কাঁহা’!