কলকাতা : সারাবছরই ভক্ত সমাগমের চেনা ছবি কালীঘাটে৷ কিন্তু, সেই চেনা ছবিতেই নয়া মাত্রা যোগ হয় কালীপুজো দিন৷ বিশেষ দিনে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে, সকাল থেকেই মন্দিরে ভক্তদের ঢল৷ কালীঘাটে  আজ মা কালীকেই মহালক্ষ্মী রূপে আরাধনা করা হয়। আজ দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো। অলক্ষ্মী বিদায় করে হয় শ্রীলক্ষ্মীর পুজো। লক্ষ্মী পুজোয় খই, মুড়কি, নাড়ু, লুচি, তরকারি দেওয়া হয়। সন্ধ্যের পুজো শেষ হয়ে গেলে রাতে আবার ভোগ নিবেদন করা হয়। সেই সময় দেওয়া হয় অন্নভোগ।সঙ্গে থাকে মাছ, পায়েসও। 


করোনা আবহে মানা হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি। সকাল থেকেই মন্দিরে ভক্তদের ভিড়। দূর-দূরান্ত থেকে পুজো দিতে এসেছেন দর্শনার্থীরা। গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে কালীঘাট মন্দির।


কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমাতেও কালীঘাটে আরাধনা হয় মা লক্ষ্মীর। দেবী কালিকাই পূজিত হন লক্ষ্মী রূপে। রীতি অনুযায়ী সেদিন মা লক্ষ্মী পুজো নেন রাতে৷ কোজাগরী পূর্ণিমার চাঁদ ওঠার পর পুজো শুরু হয়।  লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষ্যে সেদিন বিকেলে কালীঘাটে দেবীর বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। নিবেদন করা হয় নিরামিষ ভোগ। 


 
 কলকাতার অভিভাবকরূপে কালীঘাটে বিরাজ করছেন মা দক্ষিণাকালী। সতীর একান্ন পীঠের অন্যতম। কবি ভারত চন্দ্রের লেখায় পাওয়া যায়, ‘কালীঘাটে চারিটি অঙ্গুলি, ডানি পার। নকুলেশ ভৈরব, কালিকা দেবী তাঁর।।’ কথিত আছে, কালীক্ষেত্রের ৩ কোণায় অবস্থান করছেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। তাঁর মাঝেই মহাকালীর অবস্থান। এখানে ভৈরবী, বগলা, বিদ্যা, মাতঙ্গী, কমলা, ব্রাহ্মী, মহেশ্বরী ও চণ্ডী সর্বদা বিরাজ করছেন। তাই এই জায়গা কাশী বা  বারাণসীর মতোই মহা পূণ্যভূমি।