উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : বৃহস্পতিবার কালীপুজো। অমাবস্যার রাতে শ্যামা সঙ্গীতের সুরে ভাসতে ভাসতে, আলোয় সুসজ্জিত মন্দির চত্বরে বসে পুজো দেখতে না পারলেও, করোনা আবহে এবারও দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর কাছে পুজো দিতে পারবেন ভক্তরা। মন্দির খোলা থাকবে প্রায় সারারাত। তবে এবারও কঠোরভাবে মানতে হবে করোনাবিধি। মন্দির কর্তৃপক্ষের কড়া নির্দেশ, মাস্ক ছাড়া কাউকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মন্দিরের প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজার টানেল। থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষার পর, এই গেট দিয়েই মন্দিরের ভিতরে যাবেন দর্শনার্থীরা। মন্দিরের ভিতরেও মানতে হবে সামাজিক দূরত্ববিধি।
১৮৫৫ সালে রানি রাসমনি এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে রামকৃষ্ণদেবের সাধনাস্থলে পরিণত হয় দক্ষিণেশ্বর মন্দির। রামকৃষ্ণের সাধক রূপ এখানে পরিপূর্ণতা লাভ করে। তারপর থেকে পূজিত হয়ে আসছেন মা ভবতারিণী। করোনা আবহে যদিও পাল্টে গিয়েছে পুজোয় ভক্তদের প্রবেশের নিয়ম। গতবারের মতো এবারও ফুল, ধূপকাঠি-সহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে মন্দিরে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে মিষ্টি নিয়ে ঢুকতে পারবেন ভক্তরা। কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, বেশিক্ষণ মন্দির চত্বরে থাকতে দেওয়া হবে না। পুজো দিয়েই ভক্তদের মন্দির প্রাঙ্গন ছাড়তে হবে।
চার প্রহরে মা ভবতারিণীর পুজোয় হয়। এবার পুজো শুরু হবে রাত সাড় দশটার পর। কথিত, গঙ্গায় বান আসবে। সেই বানের জল শান্ত হওয়ার পর, এই ঘাট থেকে গঙ্গাজল তুলে নিয়ে গিয়ে পুজো শুরু হবে। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটায় মন্দির খুলবে। তবে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মন্দির।
আরও পড়ুন, 'রুদ্রমূর্তি থেকে সংহাররূপী', কালীর নামেই লুকিয়ে আছে পুরাণের ভয়ঙ্কর সব কাহিনি
এদিকে, কালীপুজোর মণ্ডপ দর্শকশূন্য রাখার নির্দেশের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশই বহাল রাখল হাইকোর্ট। মহামান্য আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাজি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই চূড়ান্ত। এই পর্যায়ে আর হস্তক্ষেপ করবে না কলকাতা হাইকোর্ট। তাই নতুন কোনও নির্দেশিকাও দেওয়া হচ্ছে না। তবে বাজির অপব্যবহার রুখতে ব্যবস্থা নিতে হবে রাজ্যকে।
আরও পড়ুন- কালীপুজোতেও মণ্ডপে 'নো এন্ট্রি' দর্শকদের , নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের