পার্থপ্রতিম ঘোষ, ঋত্বিক মণ্ডল, আবীর দত্ত, প্রবীর চক্রবর্তী ও রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: ৩০ অগাস্ট, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পুণ্যতিথি। উত্তর থেকে দক্ষিণ, মহাগনরের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিনেই খুঁটিপুজোর মাধ্যমে শুরু হল দুর্গাপুজোর ফাইনাল কাইন্টডাউন। 


জন্মাষ্টমীর সকালে কলকাতার বিভিন্ন পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙল ঢাকের বাদ্যিতে। কারণ, শারদোৎসবের নান্দীমুখের জন্য এই পুণ্যলগ্নকে বেছে নিয়েছেন দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা। শহরজুড়ে এদিন চোখে পড়ল খুঁটিপুজোর ধুম।


জন্মাষ্টমীতেই খুঁটি পুজো হয়ে গেল একডালিয়া এভারগ্রিনে। খুঁটিপুজোয় অংশ নিলেন পুজোর উদ্যোক্তা ও মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সাংসদ মালা রায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ঢাক বাজাতেও দেখা গেল। এবছর ৭৯ বছরে পড়ল একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো। করোনা আবহে পুজোর বাজেটে খানিক কাটছাঁট করা হয়েছে। তবে খামতি নেই আনন্দে। করোনা আবহে পুজো, তাই সমস্ত সতর্কতা মেনে উৎসবে মেতে ওঠার বার্তা দিলেন মন্ত্রী।


অন্যদিকে আজই খুঁটিপুজোর আয়োজন করা হয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারেও। ২০২১ সালে তাদের পুজো পা দিচ্ছে ৮৬ তম বর্ষে। রাজস্থানের জয়পুরের লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের আদলে সেজে উঠছে মণ্ডপ। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্যোক্তা সজল ঘোষ জানাচ্ছেন, 'করোনা আবহে পুজো হচ্ছে ফলে বাজেটে খানিক কাটছাঁট করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও চমক থাকছে অবশ্যই। যদিও ভিড় হবে কিনা জানি না।'


আরও পড়ুন: পুজোর থিমে এবার ‘খেলা হবে’, সম্পন্ন হল ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতির খুঁটিপুজো


জন্মাষ্টমীর পুণ্য তিথিতে খুঁটিপুজো হল উত্তর কলকাতার সিমলা বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবে। এই অনুষ্ঠানে আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শান্তির বার্তা দেওয়া হয়। এখানে এদিন মহিলাদের প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। 


এই বছর ৬৪ বছরে পা দিল বেহালা আদর্শ পল্লী সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো। সোমবার, জন্মাষ্টমীর দিন, খুঁটিপুজোর আয়োজন করে তারাও। এবছর তাদের থিম 'আনন্দধারা'। করোনা আবহে খোলামেলা করা হবে মণ্ডপ। যাতে বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে পারেন দর্শনার্থীরা। 


এছাড়াও, জন্মাষ্টমীর দিন কাঁকুড়গাছির APC পার্কে হল 'ইলিশ উৎসবে'র খুঁটিপুজো। গত কয়েক বছর ধরে ইলিশ উৎসবের আয়োজন করে আসছেন বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল। এই বছর ১৭ বছরে পড়বে এই উৎসব। সোমবার তারই সূচনা করেন পরেশ পাল।