অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: রাজনীতির ময়দানের বিখ্যাত 'খেলা হবে' স্লোগান এবার জায়গা করে নিল দুর্গাপুজোর মণ্ডপেও। ২০২১ সালের পুজোয় এমনই থিম করছে ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতি। আর থিমের সঙ্গে মিল রেখে সেজে উঠছে মণ্ডপ চত্বর। যদিও ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতির পুজো উদ্যোক্তা শুভঙ্কর রায়চৌধুরী জানাচ্ছেন, তাঁদের থিমের সঙ্গে রাজনীতির সেইভাবে কোনও যোগ নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই স্লোগান মাথায় রেখেই তৈরি হবে মণ্ডপ।


একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচারে 'খেলা হবে' স্লোগান তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যা ক্রমেই বিপুল পরিমাণে জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইতিমধ্যেই ১৬ অগাস্ট দিনটি 'খেলা হবে দিবস' হিসেবে পালন করা শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। এই স্লোগান নিয়েই পুজোর থিম হওয়ায় বেশ খুশি রাসবিহারীর তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার। তিনি জানাচ্ছেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের এই স্লোগান অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই থিমে এবারের পুজোর জনপ্রিয়তাও আরও বাড়বে।'


অন্যদিকে পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, মোহনবাগান ও ইস্টবঙ্গল থেকে শুরু করে এবারের অলিম্পিকে পদকজয়ীদের প্রতিকৃতিও থাকবে গোটা মণ্ডপজুড়ে। এছাড়াও দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে আরও চমক। ঠাকুর দেখতে এলেই বিভিন্ন খেলায় অংশ নিতে পারবেন তাঁরা। বিভিন্ন ইন্ডোর গেমের ব্যবস্থা থাকবে মণ্ডপে।


এদিন খুঁটিপুজোয় উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়াবিদ অনীত ঘোষ ও মেহতাব সিংহ। তাঁদের সঙ্গে ফুটবল খেলায় মেতে ওঠেন বিধায়ক থেকে পাড়ার বাসিন্দারা।


১৬ অগাস্ট রাজ্য সরকারের 'খেলা হবে দিবস' পালনকে ঘিরে তৃণমূলের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে 'খেলা হবে দিবস'-এর রাতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলও প্রকাশ্যে আসে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হন পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর অঞ্চলের বেশ কয়েকজন। 'যত খেলা হবে, তত অশান্তি বাড়বে', তৃণমূলকে খোঁচাও দেন বিজেপির জেলা সভাপতি। পরে অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশবাহিনী। তবে রাজনীতি, বিদ্বেষ সরিয়ে রেখে এবারের পুজোয় 'খেলা হবে' থিমের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টায় ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতি।