কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশেই আস্থা নির্বাচন কমিশনের (state election commission)। ভোটের দিন কী পুলিশি ব্যবস্থা, জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২৩ হাজার পুলিশ দিয়ে কলকাতা পুরভোট (KMC Election করা হবে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে অন্তত ২জন সশস্ত্র পুলিশ। ২৫ শতাংশ বুথে ভিডিওগ্রাফি অথবা সিসিটিভি। ২৮৬টি সেক্টরে সশস্ত্র পুলিশ, ৭২টি আরটি মোবাইল। কলকাতা পুরভোটে ৩৫টি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। কলকাতা পুরভোটে ৭৮টি ক্যুইক রেসপন্স টিম। কলকাতা পুরভোটের সুরক্ষায় জানাল কমিশন। পুরভোট নিয়ে রাজ্যপালকে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ''রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিচ্ছে, আশ্বস্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের পুলিশ মোতায়েন ফর্মুলায় আশ্বস্ত কমিশন, সমস্যা নেই। কলকাতা পুরভোটে আপাতত দরকার নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর।’'


পুরভোট ইস্যুতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন না হওয়ার প্রসঙ্গে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। আজ এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, "সিআরপিএফ ছাড়া কলকাতা পুরভোট করা সম্ভব নয়। বিধানসভা ভোটের পরে ২৫ হাজার হিংসার ঘটনা। কলকাতাতেও ৫০০-র বেশি এফআইআর আছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া কলকাতা পুরভোট করা সম্ভব নয়। একসঙ্গে গণনা নিয়ে স্পষ্ট কোনও আশ্বাস দিতে পারেনি কমিশন। কোর্টের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি, জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার বিজেপি, দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। এই ভোট হচ্ছে ছাপ্পা ভোটের একটা মেশিন। যাদবপুর, বেলেঘাটা-সব জায়গাতেই আক্রান্ত হয়েছে বিজেপি। একসঙ্গে গণনা নিয়ে স্পষ্ট কোনও আশ্বাস দিতে পারেনি কমিশন।"


এদিকে, পুরভোট ইস্যুতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন না হওয়ার প্রসঙ্গে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। সরব হয়েছে বিজেপি । কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তোলা হচ্ছে বারবার। এই নিয়ে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, "বিজেপি (BJP) চূড়ান্তভাবে পরাজিত হবে। এখন যা যা নাটক করা দরকার তাই করছে। বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল। কিন্তু মানুষের ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এখানে সময় নষ্ট না করে ওঁনারা রাষ্ট্র সঙ্ঘে, শান্তি সেনার কথা বলুন।"