হিন্দোল দে, কলকাতা: বিরিয়ানি নামেই জিভে জল। কিন্তু প্রচারের সময় শরীর বিগড়োলে কী হবে? তাই এখন বিরিয়ানি আর খাসির মাংস খাওয়া ছেড়েছেন ১০১ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। আজকের পাওয়ার মিলে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর খাওয়া-দাওয়ার ছবি।
রাজনৈতিক মহলে একটা কথা ঘোরাফেরা করে- রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেই তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি। প্রথমবার ভোটে লড়েই কাউন্সিলর হয়েছেন। মানুষের মন জয়ের পাশাপাশি জিতেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভরসা। তিনি বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত।
এবারও ১০১ নং ওয়ার্ড থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব ও ১০১ নম্বর দ্বিতীয়বারের প্রার্থী গুরু-শিষ্য কাঁধে কাঁধ ভোটের প্রচারে। মিলিয়ে সুস্থ থাকতে কম খাচ্ছেন। খোদ খাদ্যরসিক গুরুর টিপস, প্রচারে বেরোনোর আগে কম খাওয়াই ভালো। মন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রচারের সময় হালকা খাই, সবাইকেই বলব হালকা খেতে। খাওয়া-দাওয়া নিয়ে তেমন বাছ-বিচার নেই বাপ্পাদিত্যর। ব্রেকফাস্টে কখনও রুটি তরকারি কখনও চিঁড়ে-কলা, নুডলস।
আরও পড়ুন, নোটে নেতাজির ছবির দাবিতে হাইকোর্টে নবতিপর, কেন্দ্রের উত্তর তলব
এদিন প্রচারে বেরনোর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেই ব্রেকফাস্ট সারেন ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। মেনুতে ছিল- রুটি, বেগুন ভাজা, আপেল। প্রচারের ফাঁকে যেখানে সুযোগ পান, সেখানেই সেরে নেন লাঞ্চ। মেনু সাদামাটা। ভাত, ডাল, ডিম বা মাছের ঝোল আর সবজির তরকারি। নিজেকে সুস্থ রাখতে রোজকার মেনু থেকে বাদ রেখেছেন প্রিয় পদ। বিরিয়ানি আর খাসির মাংস এখন নৈব নৈব চ।
কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল প্রার্থী বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত, হালকা খাচ্ছি। বিরিয়ানি খাসির মাংস বাদ। তৃণমূল প্রার্থীর রাতের পাতে থাকে, ভাত, ডাল আর সবজি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভাতে থাকে প্রচুর শর্করা। যা শরীরকে শক্তি জোগায়। আটার রুটিতে থাকে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালসিয়াম। ডালে থাকে প্রোটিন। সবুজ সব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। ডিমে থাকে প্রোটিন। মাছের মধ্যে থাকে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ডি সহ অনেক উপকারী উপাদান। তাতেই শক্তি পান বাপ্পাদিত্য।
দুই খাদ্যরসিক ভোটের সময় প্রিয় পদ বাদ ব্রাত্য রাখেন বাপ্পাদিত্য।