কলকাতা: ‘ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। বাংলায় ন্যূনতম গণতন্ত্র নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছেও যাব।’ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 


বিরোধী দলনেতা আরও বলেছেন, ‘কলকাতা হাইকোর্ট আমাদের দাবি মেনে কলকাতা পুরসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেয়নি ঠিকই, কিন্তু আদালত এই মামলার নিষ্পত্তিও করেনি। ২৩ তারিখ আমরা প্রমাণ করে দেব। আপনারা দেখিয়েছেন না দেখিয়েছেন আমি জানি না, কিন্তু আমার কাছে ১৫০ থেকে ২০০ ফুটেজ আছে। একজন ভোট দিচ্ছে, অন্যজনের হাতে কালি লাগানো হচ্ছে। প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে পার্ট নম্বর, ভোটার লিস্ট নম্বর দিয়ে আর একটা হরিদাস পাল ভাইপো, সে বলছে ফুটেজ দেখান, ব্যবস্থা নেব। সে ব্যবস্থা নেওয়ার কে? সে সরকারের কে আমরা জানতে চাই। সে সরকারের হেলিকপ্টার চড়ে, প্লেন, দেড় হাজার পুলিশ তাকে স্যালুট দেয়। সে কে হরিদাস? সে সরকারের কে? তাকে কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে?’


নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে আক্রমণ করে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘সৌরভ দাস আইএএস অফিসার। ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়ে বেশিদিন টেকা যায় না। প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করে আজ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যে পরিস্থিতিতে পড়েছেন, এঁদের অবস্থাও তেমনই হবে।’


এর আগে আজ সল্টলেকে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক চলাকালীন শুভেন্দুর বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। বিজেপি বিধায়কদের বেরোতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে বিধাননগর পুলিশের বচসা বেঁধে যায়। 


অন্যদিকে, এমএলএ হস্টেলের গেটে তালা ছিল। সেই সময় ভিতরে আটকেছিলেন আটজন বিজেপি বিধায়ক। ভোটের কারণে এমএলএ হস্টেলে তালা ঝুলিয়েছে পুলিশ, অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়করা। এর প্রতিবাদে এমএলএ হস্টেলের ভিতরে বিক্ষোভও দেখান বিজেপি বিধায়করা। এ বিষয়ে পুলিশের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।