ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: রিজেন্ট পার্ক গুলিকাণ্ডে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করল লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা। গতকাল গভীর রাতে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ পঙ্কজ সাহা গোষ্ঠীর রিঙ্কু দাস, রাজীব দত্ত ও পিয়াল বড়ুয়া এবং ধৃত ভিক্টর ভট্টাচার্যর অনুগামী বিট্টু দাস, অভিজিৎ দাস ও সায়ন কুট্টিকে গ্রেফতার করে। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮।


সিন্ডিকেটের ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে বচসার জেরেই গুলি বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। 


সিন্ডিকেট বিবাদে গতকাল ভোরে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার তেঁতুলতলার দক্ষিণ আনন্দপল্লিতে চলে গুলি। আহত হন দু’জন।


পরিবার সূত্রে খবর, পঙ্কজ সাহা ও তাঁর বন্ধু অভিজিৎ মল্লিক ইমারতি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ, গতকাল ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ এলাকায় বালি ফেলার সময় বাইকে চড়ে দুই দুষ্কৃতী সেখানে হাজির হয়। ওই এলাকার কার অনুমতিতে বালি ফেলা হচ্ছে, তা নিয়ে বচসা বাঁধে।সেইসময় ভিক্টর ভট্টাচার্য নামে এক দুষ্কৃতী গুলি চালায় বলে অভিযোগ। দু’জনেরই পেটে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা এসএসকেএমে ভর্তি।


অভিযুক্তকে আটক করেছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। তাঁর মাথায় আঘাত থাকায় ভর্তি করা হয়েছে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। সিন্ডিকেট বিবাদে হামলা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। সবমিলিয়ে শহরের বুকে সিন্ডিকেট রাজ থামার লক্ষণ নেই।


এক সপ্তাহ পরেই কলকাতায় পুরভোট। তার ঠিক আগে সিন্ডিকেটের বিবাদ ঘিরে শ্যুটআউটের অভিযোগে জড়িয়ে গেছে রাজনীতিও। কারণ, গুলিবিদ্ধ পঙ্কজ সাহা ও অভিজিত্‍ মল্লিক দু’জনই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। দুই বন্ধু, দু’জনেই ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী। আবার অভিযুক্ত ভিক্টরের জেঠু হারাধন ভট্টাচার্য ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি। গতকাল অভিযুক্ত ভিক্টর ও তাঁর এক শাগরেদ মলয় ভুঁইঞাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হল।