হিন্দোল দে ও সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: আলিপুর চিড়িয়াখানায় হুলস্থূলকাণ্ড। পাঁচিল টপকে সোজা সিংহের এনক্লোজারে ঢুকে পড়লেন এক ব্যক্তি। তারপর সবার চোখের সামনেই চলল, সিংহ মানুষে টানাটানির মতো হাড় হিম করে দেওয়া ঘটনা! 


শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিজের এনক্লোজারে খোশমেজাজেই ছিল ‘বিশ্বাস’ নামের সিংহটি। হঠাত্‍ই পাঁচিল টপকে সেই এনক্লোজারে ঢুকে পড়েন গৌতম গুছাইত নামের এই ব্যক্তি। 


পরনে গেরুয়া পোশাক। নির্বিকারভাবে তিনি চলে যান একেবারে সিংহের গুহার সামনে! পশুরাজই বা নিজের এলাকায় বহিরাগতকে মেনে নেবে কেন! 


 



 


থাবা মেরে তাঁকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। খাঁচার ভিতরে পড়ে ছটফট করতে থাকেন গৌতম গুছাইত। কাছেই ছিলেন সিংহের পালক। তিনিই নিরাপত্তাকর্মীদের ডাকেন। ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়।


হাসপাতাল সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বাসিন্দা গৌতম চিকিত্‍সকদের জানিয়েছেন, তিনি না কি সিংহটিকে খাঁচার বাইরে বের করতে চেয়েছিলেন! সিংহের আঁচড়ে তাঁর ডান কাঁধ ও ডান পায়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। সারা শরীরে রয়েছে আঁচড়ের দাগ! 


১৯৯৬ সালে আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই শিবা নামে একটি বাঘকে মালা পরাতে এনক্লোজারে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। বাঘের কামড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। 


 



 


চারবছর বাদে, এনক্লোজারে ঢুকে বব নামের একটি বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয় আরও এক যুবকের! ২০১৪ সালে দিল্লির চিড়িয়াখানা থেকে সামনে এসেছিল এই ভয়াবহ ছবি। বাঘের এনক্লোজারে পড়ে যান এক যুবক। ঘাড়ে কামড়ে ধরে তাকে টেনে নিয়ে যায় বাঘ। 


২০১৯ সালে দিল্লি চিড়িয়াখানাতেই সিংহের খাঁচায় ঢুকে পড়েন আরেকজন! তবে বরাত জোরে বেঁচে যান তিনি! এবার কলকাতার এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে চিড়িয়াখানায় নজরদারি নিয়ে। 


আহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, কালীঘাটে পুজো দেওয়ার নাম করে গতকাল বাড়ি থেকে বেরোন ওই ব্যক্তি। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। এসএসকেএমেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।