ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও সৌমিত্র রায়, কলকাতা: ফের রেফার-হয়রানির অভিযোগ উঠল সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এবার কাঠগড়ায় কলকাতার ৩টি হাসপাতাল। স্ট্রোক হওয়ার পর ২ দিন কেটে গেলেও এখনও ভর্তি হতে পারেননি ডোমকলের ৬৫ বছরের প্রৌঢ়া। মস্তিস্কে রক্ত জমাট বাঁধা রোগিণীকে নিয়ে এনআরএস, এসএসকেএম, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে ঘুরলেও ভর্তি করা যায়নি বলে অভিযোগ। এসএসকেএমে প্রতীক্ষালয়ে রাত কেটেছে। পরিবারের দাবি, আজ বহির্বিভাগে দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানা ছিল না, রোগিণীর চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হবে, আশ্বাস হাসপাতালের সুপারের। 


পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার স্ট্রোক হয় নুর খাতুনের। প্রথমে ডোমকল মহকুমা হাসপাতাল, সেখান থেকে বহরমপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিত্সকরা জানান, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধায় চিকিত্সা হবে কলকাতায়। গতকাল রোগিণীকে এনআরএসে নিয়ে আসে পরিবার। অভিযোগ, ভর্তি নিলেও শুরু হয়নি চিকিত্সা। এরপর রোগিণীকে নিয়ে এসএসকেএমে নিয়ে গেলে বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ফের রেফার করা হয় এসএসকেএমে। এরপর রোগিণীকে নিয়ে গোটা রাত এসএসকেএমের প্রতীক্ষালয়ে কাটিয়েছে পরিবার। আত্মীয়দের দাবি, আজ বহির্বিভাগে দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।


ফের প্রকট সরকারি হাসপাতালের রেফার রোগ। করোনার এই সঙ্কটকালে অসুস্থদের ক্ষেত্রে প্রতি মুহূর্ত যখন ভীষণ মূল্যবান, সেই পরিস্থিতিতে এমন আচরণে প্রশ্নের মুখে একাধিক সরকারি হাসপাতাল। গত ১৬ জুলাই ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চার চারটি হাসপাতালে ঘুরেও রোগী ভর্তি করতে না পারার অভিযোগ ওঠে। ফের রোগী-প্রত্যাখানের অভিযোগ শহরের একাধিক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের জেরে অবশেষে ভর্তি হতে পারেন রোগী। 


বেহালা চৌরাস্তার বাসিন্দা এক পরিবারের দাবি, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ বছর ৬৫-র রোগীকে নিয়ে প্রথমে যান বেহালার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে রেফার করা হলে তাঁরা এসএসকেএম সহ চারটি সরকারি হাসপাতালে যান। কিন্তু অভিযোগ, কেউই ভর্তি নিতে চায়নি। গভীর রাত পর্যন্ত এসএসকেএমের সামনে স্ট্রচারে পড়ে ছিলেন রোগী। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।