কলকাতা: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Banerjee) হুমকি চিঠি (Threatening letter) দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার ৩। এক চিকিত্‍সক সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ (Laalbazar)। গতকাল প্রথমে গ্রেফতার করা হয় টাইপিস্ট বিজয় কুমার কয়ালকে। তাঁকে জেরা করেই উঠে আসে চিকিত্‍সক অরিন্দম সেনের নাম। অভিযোগ, এই অরিন্দম সেনই বিভিন্ন লোককে হুমকি চিঠি পাঠাতেন। এ কাজে সাহায্য নিতেন তাঁর গাড়ির চালক রমেশ সাউয়ের। রমেশকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


অক্টোবরের শেষে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Banerjee) খুনের হুমকি দিয়ে একটি চিঠি পৌঁছয়। চিঠিটি এসেছিল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University Of Calcutta) উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sonali Chakraborty Banerjee) নামে। 


সূত্রের খবর, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Banerjee) স্ত্রীকে হুমকি-চিঠিতে বলা হয়, তাঁর স্বামীকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। হুমকি-চিঠির ব্যাপারে জানার পরেই তৎপর রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হুমকি চিঠির ব্যাপারেও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এই ঘটনায় ১৭০ অর্থাৎ সরকারি আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয়, ৫০০ অর্থাৎ মানহানি, ৫০৬ অর্থাৎ হুমকি এবং ৪১৯ অর্থাৎ ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারণা, ভারতীয় দণ্ডবিধির এই চারটি ধারায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় (Hare Street Police Station) মামলা রুজু করা হয়।  


উল্লেখ্য, সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব।


গত ২৮ মে প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা মিটিংয়ে উপস্থিত না থাকার কারণে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিং শুরু হয়। ডিসিপ্লিনারি প্রসিডিং শুরু করে কর্মীবর্গ দফতর। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ক্যাটের কলকাতা বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আলাপন। মামলা কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরাতে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে আবেদন করে কর্মীবর্গ দফতর। ২২ অক্টোবর মামলা দিল্লিতে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: South 24 Paraganas News: সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে নৌকায় বাঘের হানায় জখম যুবক