কলকাতা: ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের বিশেষ বিমানে আনা হল কলকাতায়। সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। গতকাল রাতে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের নিয়ে কলকাতায় ফেরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবাংশু ভট্টাচার্যর অভিযোগ, আহত সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তর চিকিত্সার ব্যবস্থা করেনি ত্রিপুরা সরকার। রাতে বিমানবন্দর থেকে তাঁদের এসএসকেএমে নিয়ে আসেন তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী। ফের তাঁরা ত্রিপুরায় যাবেন বলে জানিয়েছেন জয়া দত্ত। 

শনিবার ত্রিপুরার আমবাসায় আক্রান্ত হন, যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা। এরপরই নিরাপত্তার দাবিতে খোয়াই থানার সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা। রাতভর চলে বিক্ষোভ। এই ঘটনায় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে তৃণমূলের ১৪ জন নেতা-নেত্রীকে গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ। রবিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করতেই জামিন মেলে সকলের। পুলিশের দায়ের করা একাধিক মামলা খারিজ করে দেন বিচারক। আর এতেই সত্যের জয় দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। 

এরপর রবিবারই রাতে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের বিশেষ বিমানে আনা হয় কলকাতায়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রশ্নে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির ‘টাগ অফ ওয়ার’। বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় আইনের শাসন নেই বলে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। আবার গেরুয়া শিবিরের দাবি, ইচ্ছেকৃতভাবে শান্ত ত্রিপুরাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।  

অন্যদিকে ত্রিপুরার ঘটনার পর ফের একবার বিজেপিকে হুমকি দিলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। বললেন, ‘তৃণমূল ত্রিপুরায় আক্রান্ত হলে এখানকার বিজেপি নেতারা রেহাই পাবেন না।' ভেটাগুড়ির কর্মীসভায় বিজেপিকে হুমকি দেন তৃণমূল নেতা। উদয়ন গুহর হুমকির তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। 


 


এই প্রেক্ষাপটে এবার ত্রিপুরা ইস্যুকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরে বিজেপির বিরুদ্ধএ চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল তৃণমূল কংগ্রেস।  ঠিক হয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির সামনে অবস্থানে বসবেন তৃণমূলের লোকসভার ও রাজ্যসভার সাংসদরা। ত্রিপুরা ইস্যুতে অন্য দলেরও সমর্থন চেয়েছে তৃণমূল।