উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: কীর্তিমান দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো কর্মকাণ্ডের জট খুলতে যখন ব্যস্ত পুলিশ, তখন ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে আতঙ্কে দিশাহারা ভ্যাকসিন গ্রহীতারা। আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে শ্রেয়া, শুভজিৎ, কুহেলীর মতো আরও অনেককে। 


 সিটি কলেজের প্রাক্তনী শ্রেয়া দাস। কলেজে দেবাঞ্জন দেবের আয়োজন করা ক্যাম্পেই ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তিনি।  সেই থেকে ভুগছেন জ্বর, সর্দিতে। তিনি বলেন, আমার করোনা হয়েছিল। দেবাঞ্জন বলল ভ্যাকসিন নিতেই পারো। স্পুটনিক ভি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছিল তিনদিন আগে ১০৪/১০৫ এর উপর জ্বর উঠছে বুঝতে পারছি না কেন জ্বর আসছে।


একই সমস্যা সিটি কলেজের পড়ুয়া শুভজিৎ পালেরও।  তাঁর দাবি, কিছুতেই নিজেকে ফিট বলে মনে হচ্ছে না। বললেন, ঘুম ঘুম পাচ্ছে, মাথা ব্যাথা করছে, অসুস্থ লাগছে। 


অন্যদিকে, ছেলে ও বিশেষভাবে সক্ষম মেয়েকে নিয়ে ২২ জুন কসবার ভ্যাকসিনেশন সেন্টার থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন বালিগঞ্জের কুহেলী ঘোষ। তার পর থেকেই ১০৩-১০৪ জ্বর।  চিকিৎসকের কাছে গেলেও চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না বলে দাবি। 


তিনি বলেন, আমার আমার ছেলের মেয়ের সবার জ্বর। জানি না কী হবে। চিকিৎসক বলছে,  শরীরের মধ্যে কি ভ্যাকসিন গেছে, তা না জেনে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। 


অনেকেরই দাবি, ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট দেখাতে না পারায় সমস্যা হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে। কুহেলী বলেন, চাকরি করি। ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট দেখাতে পারছি না। 


শরীরে গিয়েছে ভুয়ো ভ্যাকসিন। আসল ভ্যাকসিন কবে পাবেন, এখন চিন্তা তা নিয়েও। ফিরহাদ হাকিম বলেন, যাঁরা ভুয়ো ভ্যাকসিন পেয়েছিল পুরোটাই খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্যভবন। তাঁরা কবে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন তা রিপোর্ট আসার পরই বলা যাবে। তিন-চার দিনের মধ্যেই রিপোর্ট চলে আসবে।


দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের দাপট কমলেও বাড়ছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। শুধু কুহেলী, শ্রেয়া বা শুভজিৎ নন,আতঙ্ক আর উদ্বেগ তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভুয়ো ভ্যাকসিন নেওয়া আরও অনেককে।