রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : একের পর এক ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনার অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন  প্রান্ত থেকে। একেকটি প্রতারণার ছক একেক জায়গা থেকে। কিছুদিন আগেই কলকাতার লেকটাউন থানায় বড় ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে। লেকটাউনবাসী দম্পতির অভিযোগ, ১০ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ধাপে ধাপে ৬৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। ২৩ জুলাই লেকটাউন থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়।


পুলিশ সূত্রে দাবি, দিল্লিতে বসে টার্গেট করা হত কলকাতার ব্যবসায়ীদের।  তাঁদের ফোন করে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হত। যে ব্যবসায়ীরা ব্যাঙ্কে  বড় অঙ্কের ঋণের জন্য আবেদন করতেন, কোনওভাবে সেই খবর জোগাড় করে টার্গেট করা হত তাঁদের।  
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই প্রতারণাচক্রের অন্যতম পাণ্ডা রাহুল শর্মাকে দিল্লির লক্ষ্মীনগর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে লেকটাউন থানার পুলিশ। তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে রবিবার আনা হয়েছে কলকাতায়। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১০ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী দম্পতির কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় ৬৭ লক্ষ টাকা। 


পুলিশ সূত্রে খবর,  লেকটাউনের এক ব্যবসায়ী দম্পতি বড় অঙ্কের ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন ব্যাঙ্কে। সেই খবর জেনে, ব্যবসায়ী দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন কলকাতার বাসিন্দা অনন্ত তপাদার। তাঁর মাধ্যমেই ব্যবসায়ী দম্পতির পরিচয় হয় দিল্লির বাসিন্দা গোবিন্দ ঝা এবং রাহুল শর্মার। অভিযোগ, তিনমূর্তি মিলে ১০ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাতিয়ে নেন ৬৭ লক্ষ টাকা। 


গত ২৩ জুলাই লেকটাউন থানায় দায়ের হয় প্রতারণার অভিযোগ।  পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে গ্রেফতার করা হয় অনন্তকে। তাঁকে জেরা করে দিল্লি থেকে রাহুল শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়।  তবে প্রশ্ন উঠেছে, কোন ব্যাঙ্কে কলকাতার ব্যবসায়ী বড় অঙ্কের ঋণের আবেদন করেছেন, সেই খবর কীভাবে পেল অভিযুক্তরা?  এই চক্রে আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সোমবার তাঁকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে।  নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে তদন্ত করে দেখছে লেক টাউন থানার পুলিশ।