কলকাতা: বেহালায় ২১ প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। পুরীর (puri) জগন্নাথদেব মন্দিরের আদলেও দীঘাতেও জগন্নাথ মন্দির করার ভাবনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর (chief minister)। বেহালা চৌরাস্তায় পুরভোটের প্রচারে এসেছিলেন। আর সেখানে এসেই তিনি বলেন, ''দীঘা, মন্দারমনি ঘুরে আসুন। পুরো বদলে দিয়েছি আমরা তার চেহারা। পুরীতে যদি জগন্নাথের মন্দির থাকে, তো দীঘাতেও জগন্নাথের মন্দির থাকতে পারে। আপনারা পুরীতে যান জগন্নাথদেবের দর্শন করতে। তাই আমি মনে করি যে দীঘাতেও সমুদ্রের ধারে একটা জগন্নাথ দেবের মন্দির থাকা উচিত। আমরা ইতিমধ্যেই ৮ কোটি টাকা দিয়ে জায়গা কিনে নিয়েছি। আজও ১২৮ কোটি টাকা অনুমোদন করেছি এই কাজের জন্য।'' 


এদিন সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, "মা ফ্লাইওভার তৈরি হয়েছে। আগে বিমানবন্দরে যেতে আমার দেড় ঘণ্টা লাগত এখন আমার ২৫ মিনিট লাগে। মা ফ্লাইওভারের পরেই বাগুইআটি ফ্লাইওভার, এমন করে দিয়েছি যে ২০-২৫ মিনিটে পৌঁছে যাই বিমানবন্দরে। মেট্রোরেল জোঁকা পর্যন্ত করে দিয়েছি। আগামী দিনে সুযোগ পেলে, যদি টাকার ব্য়বস্থা করতে পারা যায় তবে ডায়মন্ডহারবার পর্যন্ত সংযুক্ত করার কথা ভেবেছি। কলকাতায় ১ কোটি গাছ লাগাতে হবে। বেহালায় অন্তত ২০ হাজার গাছ লাগাতে হবে। বেহালার জল জমার সমস্যা দূর করতে হবে।"


তিনি আরও বলেন, "যে কোনও বড় কাজে যাওয়ার আগে, যে কোনও বড় প্রোগামে যাওয়ার আগে আমি বেহালার মাটিটা ছুঁয়ে যাই। এই কথাটা আমি প্রতিবার এসে আপনাদের মনে করিয়েও দিই। যাতে আপনারা আমায় না ভোলেন আর আমি আপনাদের না ভুলি। আমার রাজনীতির হাতেখড়ি এখান থেকে। আমি যখন যাদবপুরে দাঁড়িয়ে ছিলাম প্রথমবার তখন বেহালা আমার সাথে ছিল। আবার যখন আমি দক্ষিণ কলকাতায় দাঁড়িয়েছি তখনও আপনারা আমার সঙ্গে ছিলেন। আপনাদের বাদ দিয়ে আমি চলি না, আমার কাজ চলে না। গর্ব করে বলতে হয় ফিতে কে কাটবে আমার দেখার দরকার নেই, এই বেহালার মেট্রোরেলের সবটাকা আমি দিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমি জানতাম একদিন না একদিন এটা সম্পূর্ণ হবে। বাংলায় সবচেয়ে বেশি ব্রিজ আছে।"


আরও পড়ুন: কারা দফতরের চাকরি ছেড়ে তৃণমূল প্রার্থী, ক্ষিতি-কন্যা বসুন্ধরার প্রশংসা মমতার