কলকাতা: দেশজুড়ে ১৯৭১-এর ভারত-পাক যুদ্ধজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন। পাকিস্তানের (pakistan) বিরুদ্ধে গৌরবজনক জয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে মশাল প্রজ্বলন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (narendra modi)। ১৯৭১-এর যুদ্ধের পুরস্কার প্রাপক ও প্রাক্তনীদের বাড়ি ছাড়াও মশাল নিয়ে যাওয়া হবে দেশের বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে। ১৯৭১-র যুদ্ধে পাকিস্তানের (pakistan) বিরুদ্ধে জয়ী হয় ভারত। পাকিস্তান ভেঙে গঠিত হয় বাংলাদেশ। সেই থেকে প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস (vijay diwas) হিসেবে উদযাপন করা হয়। কলকাতার (kolkata) ফোর্ট উইলিয়ামেও (fort william) পালিত হল স্বর্ণিম বিজয় দিবস। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় পালিত হচ্ছে। 


দেশজুড়ে ১৯৭১-এর ভারত-পাক যুদ্ধজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গৌরবজনক জয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে মশাল জ্বালালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯৭১-এর যুদ্ধের পুরস্কার প্রাপক ও প্রাক্তনীদের বাড়ি ছাড়াও মশাল নিয়ে যাওয়া হবে দেশের বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বীরযোদ্ধাদের।


প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেন, "৫০ তম বিজয় দিবসে,  ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা এবং বীরযোদ্ধাদের অপরিসীম বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করি। আমরা অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়েছি ও পরাস্ত করেছি। আজ ঢাকায় রাষ্ট্রপতি মহাশয়ের উপস্থিতি প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।"


১৯৭১-এর ইন্দো পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ৩রা ডিসেম্বর। যুদ্ধ চলে টানা ১৩দিন। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর সরকারিভাবে যুদ্ধ শেষ হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য ওই যুদ্ধে আত্মসমর্পন করে ভারতের কাছে। যার মধ্যে ছিলেন তৎকালীন  পাকিস্তানি সেনা প্রধান জেনারেল নিয়াজিও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ছিল সবথেকে বেশি সংখ্যক যুদ্ধ সেনাদের আত্মসমর্পনের ঘটনা। ভারতের কাছে যেমন এটা বিজয় দিবস। বাংলাদেশের কাছেও তাদের স্বাধীনতা দিবস। 


আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে শুভেচ্ছা পাঠাবেন যেভাবে, রইল উদাহরণ