অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: পথের দুর্ভোগ এড়াতে নতুন পথের সন্ধানে কলকাতা পুরসভা। সয়েল টেস্ট ও ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা করে নতুন পদ্ধতিতে তৈরি হবে রাস্তা। প্রয়োজন সরানো হবে মাটির তলার জলের পাইপ। কাজ শুরু হয়েছে এস পি মুখার্জি রোডে।


খানা-খন্দ পেরিয়ে ঝুঁকির যাতায়াত। বড় বড় গর্তে বিপদের হাতছানি। বর্ষায় কলকাতার রাস্তা মানেই এই ছবি! শুধু বর্ষা নয়, ভারি গাড়ির চাপেও ক্ষতি হচ্ছে বহু রাস্তার। এই ছবিটা বদলাতে তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা।


ভারবহন ক্ষমতা বিচার করে, নতুন পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরুও হয়ে গেছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, দিনে দিনে গাড়ির চাপ বাড়ায় অনেক রাস্তা খারাপ হচ্ছে। বর্ষায় যা ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে। 


বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে এবার ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা করে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। নতুন রাস্তা তৈরির আগে করা হবে সয়েল টেস্ট, তারপর লোড টেস্ট। ইতিমধ্যেই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডে তার প্রাথমিক কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। 


পরবর্তী কাজ শুরু হবে হরিশ মুখার্জি রোডে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, নতুন পদ্ধতিতে হাজরা মোড় থেকে রাসবিহারী মোড় পর্যন্ত মাত্র ৬৫০ মিটার রাস্তা তৈরি করতেই খরচ পড়ে যাবে ৬ থেকে ৮ কোটি টাকা। এইভাবে শহরের ১৮ থেকে ২০ টি রাস্তাকে নতুনভাবে তৈরির করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 


শুধু ভারবহন ক্ষমতা দেখে রাস্তা তৈরি নয়।  মাটির তলার জলের পাইপের লিকেজ আটকাতেও নতুন পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হবে। পুরসভা সূত্রে খবর, প্রয়োজনে মাটির নীচে থাকা জলের পাইপ মাঝখান থেকে কোনও এক ধারে সরানো হবে। তা সম্ভব না হলে, পাইপে জ্যাকেটিং করা হবে। যাতে জল লিক করলেও, রাস্তার ক্ষতি হবে না।  এই সমস্ত পরিকল্পনা কি শহরের বেহাল রাস্তার ছবিটা বদলাবে? সেটাই এখন দেখার।