ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা:  চিনা মাঞ্জায় মরণফাঁদ। মা উড়ালপুলে একের পর এক দুর্ঘটনা। কলকাতা পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনা কমাতে, কেএমডিএ-কে পুরো উড়ালপুল নেট দিয়ে ঘিরে ফেলতে আবেদন করা হয়। কিন্তু এখনও কাজ এগোয়নি। পাল্টা কেএমডিএ-র বক্তব্য এনিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি। টেকনিকাল এক্সপার্ট টিমের সবুজ সঙ্কেত মিললেই শুরু হবে কাজ।


গত ৩ মাসে ১২ জন। মা ফ্লাইওভারের ওপর, চিনা মাঞ্জায় জখম হয়েছেন ১২ জন বাইক আরোহী। আর বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার ওপরের অংশে। এমনই দাবি কলকাতা পুলিশ সূত্রে। 


যেমন, পাপ্পু কুমার ঝা। লিলুয়ার বাসিন্দা, ২২বছরের এই যুবক রাখির দিন দিদির বাড়িতে যাচ্ছিলেন  রাখি পরতে। মা ফ্লাইওবারের ওপর আচমকা দুর্ঘটনা ঘটে। মাঞ্জা সুতোয় জড়িয়ে পিছলে পড়ে যান তিনি। চোখ, নাক কেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঞ্জার সুতোয় এতটাই ধার ছিল, যে হেলমেটের ওপরও দাগ বসে যায়। চিনা মাঞ্জায় জখম যুবক পাপ্পু কুমার ঝা বলেন, আমি বাইক চালিয়ে আসছিলাম। তখনই নাকের ওপর কেটে যায়। মাঞ্জায় জড়িয়ে যায়। 
 
মা উড়ালপুলে বারবার চিনা মাঞ্জায় বিপদ।কলকাতা পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনা কমাতে, কেএমডিএ-কে পুরো উড়ালপুল নেট দিয়ে ঘিরে ফেলতে আবেদন করা হয়। পরীক্ষামূলকভাবে ফ্লাইওভারের দু’দিকে ২৫ ফুট করে ফেন্সিং-ও দেয় কেএমডিএ। পুলিশ সূত্রে দাবি, তাতে দেখা গেছে, ওই অংশে দুর্ঘটনা কমেছে। পুরো অংশে নেট লাগানো নিয়ে দফায় দফায় পুলিশ ও কেএমডিএ-র মধ্যে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু, কাজ এগোয়নি বলে অভিযোগ কলকাতা পুলিশের। এখন তাই পুলিশই লাঠি হাতে উড়ালপুলের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। 


কেএমডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, উড়ালপুলের দু’ধারে নেট লাগানো নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। সেতুর পুরোটা নেট দিয়ে ঘিরলে, তা সেতুর স্বাস্থ্যে কোনও প্রভাব ফেলবে কিনা কিম্বা সেতুর ভারবহনে কোনও সমস্যা হবে কিনা, তা জানতে, এই রিপোর্ট কেএমডিএ-র টেকনিকাল এক্সপার্ট টিমের কাছে পাঠানো হয়েছে।  তাঁদের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত মিললেই, নেট লাগানোর কাজ শুরু করবে কেএমডিএ।