কলকাতা: পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম। এবার থেকে সোম, বুধ, শুক্র-এই তিন দিন দেওয়া হবে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ। মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার এই তিন দিন দেওয়া হবে প্রথম ডোজ।
উল্লেখ্য রাজ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকার অভিযোগ উঠেছে আগেই। এ নিয়ে কেন্দ্রেকে তোপ দেগেছে রাজ্য সরকার। যদিও এই সপ্তাহের শুরুতেই কয়েক দফায় ভ্যাকসিন ঢুকেছে রাজ্যে। তবে রাজ্যে ভ্যাকসিন হয়রানি অব্যাহত। আজ ফের মেজিয়ায় ভ্যাকসিনের লাইনে অশান্তি তৈরি হয়। বিক্ষোভের জেরে উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বন্ধ হয়ে যায় টিকাকরণ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ভ্যাকসিন-হয়রানির অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজনীতির রং দেখে তালিকা তৈরি করছে তৃণমূল, অভিযোগ করেছে বিজেপি। ভিত্তিহীন অভিযোগ, পাল্টা দাবি শাসকদলের। ভ্যাকসিন পেতে চূড়ান্ত হয়রানি। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলল বিক্ষোভ। কয়েক ঘন্টা বন্ধ রইল টিকাকরণ। শুক্রবার সকালে এভাবেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের পায়রাশোল উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ভ্যাকসিন-হয়রানির অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ।
এদিকে ভ্যাকসিন হয়রানির মধ্যেই রাজ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে সংক্রমণ। কাল সংখ্যাটা ছিল ৭৪৭। আজ সামান্য কমে সেটা দাঁড়াল ৭৩৯-এ। সুতরাং গতকালের তুলনায় রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা সামান্য কমল। শুক্রবার প্রকাশিত বুলেটিন অনিযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩৯ জন। এ নিয়ে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫,৩৭, ১৮৫ জন। ১৩ অগাস্টের হিসেবে রাজ্যে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১০,১০৯। গতকালের থেকে যা ১৮ জন কম।
এই সময় পর্বে রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৮ জন। গতকাল মৃত্যু হয়েছিল ১০ জনের। সবমিলিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮,২৭৬ জনের। পাশাপাশি সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী আজ রাজ্যে করোনায় থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৮.১৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৭৪৯ জন। হিসেব বলছে শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৫,০৮,৮০০ জন।