ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: কালীঘাটের গেস্ট হাউসে কালিম্পং থেকে আসা মহিলার রহস্যমৃত্যু। ঘরের ভিতর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে কালীঘাট থানার পুলিশ।


কালিম্পং থেকে কলকাতায় সরকারি কাজে আসা এক মহিলার মৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কালীঘাটের পার্বতী চক্রবর্তী লেনের এই গেস্ট হাউসে ওঠেন, ৫১ বছরের বিন্দু লামা সুব্বা। তাঁর সঙ্গে এসেছিল কালিম্পং পুলিশের একটি দল। গেস্ট হাউসের কর্মীদের দাবি, বুধবার বেলার দিকে, ওই মহিলাকে খাটের মধ্যে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখেন তাঁরা। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। 


২৩ তারিখ এই গেস্ট হাউসে আসেন। গতকাল সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। গেস্ট হাউসের কর্মী বলেন, ২৩ তারিখ দুটি রুম নেন উনি। সাড়ে চারটে নাগাদ আরেকজন আসেন। ভাড়া নিতে যাই দেখি উনি বসেছিলেন। লাল চা, আর পাউরুটি চান। পরে বলেন ব্যালান্সটা নিয়ে নেবেন।


গেস্ট হাউস সূত্রে খবর, কালিম্পং পুলিশের অ্যাকাউন্টেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন বিন্দু লামা সুব্বা। কলকাতায় সরকারি কাজে এসেছিলেন। পুলিশকর্মী মেহবুব বিশ্বাস বলেন, ''কালিম্পঙে পুলিশের অ্যাকাউন্টেন্ট। এখানে মিটিংয়ে এসেছিলেন। আমি আজ এসেছি। এগুলো মহিলার লাগেজ।''


এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে কালীঘাট থানার পুলিশ। গেস্ট হাউসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


কিছুদিন আগেই, গড়ফা থানা এলাকার মহিলার রহস্যমৃত্যু। একটি ফ্ল্যাটবাড়ির ছাদ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় গতকাল রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গড়ফার ১৪ নম্বর কালীতলা রোডের বাসিন্দা, মৃত রুমা ঘোষ পরিচারিকার কাজ করতেন।  যে ফ্ল্যাটের ছাদে তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়, সেই ফ্ল্যাটের এক আবাসিকের কাছে তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন।  ওই  আবাসিকের থেকে তিনি বেশ কয়েক হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন বলে মৃতের পরিবারের দাবি। ঘটনায় মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ করেছে। তবে ফ্ল্যাটের মালিকের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতিতে পুরভোট, প্রচারে কী কী নিয়ম মানতে হবে দলগুলিকে?