কলকাতা: রেলের ইঞ্জিনিয়ার বলে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে দীপক সিং নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা।  চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একজনের থেকে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দীপকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত আর কাউকে প্রতারমা করেছে কি না, অন্য কেউ এই চক্রে জড়িত কি না, সে সব বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।


এ দিনই কলকাতায় আরও এক ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারমার খবর প্রকাশ্যে আসে। নাসার এজেন্ট বলে পরিচয় দিয়ে ভিন রাজ্যের নাগরিকের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। গ্রেফতার মধুমিতা সাহা নামে রাজারহাটের বাসিন্দা।  


পুলিশ সূত্রে খবর, হরিয়ানার বাসিন্দা নরেন্দ্র সিং নামে এক ব্যক্তি গতকাল নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ করে, অভিযোগে জানানো হয়, সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে পরিচয় হওয়ায় এক মহিলা নিজেকে নাসার এজেন্ট বলে পরিচয় দেন এবং লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেন।


গত ১৯ তারিখেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে মেদিনীপুর।  ভুয়া আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ও তোলাবাজির অভিযোগ গ্রেফতার করা হয় মেদিনীপুর শহরের এক যুবককে। নীলবাতি লাগানো গাড়িতে ঘোরা। সোশাল সাইটে আইপিএস অফিসারের পোশাকে একাধিক পোস্ট। আচার-আচরণে সন্দেহের কোনও জায়গা ছিল না। তা সত্ত্বেও হল না শেষরক্ষা।


বেলঘরিয়ার রাজর্ষি ভট্টাচার্যের পর এবার পুলিশের জালে মেদিনীপুরের লাইব্রেরি রোডের বাসিন্দা সৌমকান্তি মুখোপাধ্যায়। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন আরও এক ভুয়ো আইপিএস অফিসার। 


ধৃত ভুয়ো আইপিএস অফিসারের নাম সৌম্যকান্তি মুখোপাধ্যায়। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আইপিএস ব্যাজ, টুপি, আইডি-সহ রিভলভার রাখার হোল্ডার। মেদিনীপুররে বাসিন্দা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় কোতয়ালি থানায় অভিযোগ জানান বুধবার রাতে। তাঁর অভিযোগ, সাড়ে দশ লক্ষ টাকা নিয়ে ফেরত দিচ্ছিলেন না তাঁরই এক আত্মীয় ও সহ দুজন।


বাঁকুড়াতেও ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে সিম কার্ড তুলে চলত প্রতারণা। বাঁকুড়ায় ই-ওয়ালেট প্রতারণাকাণ্ডের তদন্তে নেমে, আরও এক জালিয়াতির খোঁজ পায় পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, গ্রেফতার হওয়া ছাতনার বাসিন্দা সব্যসাচী কুণ্ডু ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির মাস্টারমাইন্ড।


ব্যাক্তি এক অথচ তাঁর ভিন্ন নাম। একই ব্যাক্তি অথচ তাঁর আধার নম্বর আলাদা। ঠিক এই ভাবেই বিভিন্ন ব্যাক্তিদের ছবি কে কাজে লাগিয়ে নিজেদের মতন করে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড বানিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল জেলার একটি চক্র।