কলকাতা পুলিশের দুই আধিকারিক বাড়ি গিয়ে সাদা কাগজে সই করতে চাপ দেন। সিবিআইয়ের কাছে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি নেতার দাদা। প্রমাণস্বরূপ একটি ভিডিও-ও CBI-এর হাতে তুলে দিয়েছে নিহতের পরিবার।


CBI’র সামনে বিস্ফোরক কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা। কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার ২ আধিকারিককে চিহ্নিত করে, সরাসরি মৃতের পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুললেন তিনি। 


কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিত্‍ সরকার জানিয়েছেন, এই দু’জন বাড়িতে আসে। সাদা কাগজে সই করানোর জন্য চাপ দেয়। এর চেয়ে বড় কালপ্রিট ওসি নারকেলডাঙা। তাঁকে দেখতে পেলাম না। হয়ত পরবর্তীকালে দেখতে পাব।


২ মে, ভোটের ফল ঘোষণার পর, মৃত্যু হয় কাঁকুরগাছির বাসিন্দা, বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য অভিজিৎ সরকারের। পরিবারের অভিযোগ, ভোটের ফল বেরনোর দিন শ্বাসরোধ করে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় তাঁকে।


ঘটনার তদন্তে বুধবার নিজাম প্যালেসে ডাকা হয় মৃতের দাদা বিশ্বজিত্‍ সরকারকে। তিনি সিবিআই দফতরে ঢোকার আধঘণ্টা পর, কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার ৩ আধিকারিক সিবিআই দফতরে পৌঁছন। 


CBI সূত্রে দাবি, তখনই তাঁদের মধ্যে ২ জনকে চিহ্নিত করেন মৃতের দাদা। এনিয়ে CBI-এর কাছে একটি ভিডিও-ও পেশ করেছেন তিনি। যেখানে বিশ্বজিত্‍ সরকার দাবি করেছেন, এদিন হোমিসাইড শাখার যে আধিকারিকরা সিবিআই দফতরে যান, তাঁদের মধ্যে, দু’জন তাঁদের বাড়িতে গেছিলেন। 


নিজাম প্যালেসে হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্ত নিয়ে এদিন নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টরদের বৈঠক হয়। CBI’এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রধান অখিলেশ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন CBI’এর জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার চার IPS অফিসার।  


সূত্রের খবর সেই বৈঠকে ঠিক হয়, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বাড়তি গুরুত্ব দেবে CBI।  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে সরাসরি অভিযোগ জানানো যাবে। CBI সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে, ঠিক করবে, কোন ধারায়, কাদের বিরুদ্ধে FIR হবে। সিবিআই দাবি করেছে, এফআইআর-এর সংখ্যা বাড়তে পারে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, একাধিক জায়গায় অভিযোগ জানাতে পারেনি।