রঞ্জিৎ সাউ, কলকাতা: ভুয়ো কল সেন্টার খুলে দেশে ও বিদেশে টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ জনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেক সেক্টর ফাইভে ম্যাট্রিক্স বিল্ডিংয়ে অফিস খুলে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা করতেন অভিযুক্তরা।
এই প্রথম নয়। এর আগেও, সাম্প্রতিক অতীতে ভুয়ো কলসেন্টারের পর্দাফাঁস হয়েছে কলকাতায়। গত সপ্তাহে কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণার অভিযোগে এক চক্রের পাণ্ডা সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ।
স্বাস্থ্য বিমা করিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন লোককে টার্গেট করে স্বাস্থ্য বিমা করিয়ে দেওয়ার নামে ফাঁদ পাতত অভিযুক্তরা।
তারপর ধাপে ধাপে নেওয়া হতো টাকা। টাকা নেওয়ার পর গ্রাহকরে সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করত অভিযুক্তরা। বুধবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বহুতলে হানা দেয় নিউটাউন থানার পুলিশ।
গ্রেফতার করা হয় চক্রের মূল পাণ্ডা কমলেশ কুমার আর্য সহ ৬ জনকে। নিউটাউন থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৪টি ল্যাপটপ, ৭টি মোবাইল ফোন ও ৩টি ডেবিট কার্ড।
এর আগে, গতমাসের শেষদিকে কড়েয়া ও তারাতলা, কলকাতার দুই জায়গায় ভুয়ো কলসেন্টারের হদিশ পায় পুলিশ। বিদেশি গ্রাহকদের থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে তল্লাশি চালিয়ে মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
তারাতলার আইটি পার্কেই রমরমিয়ে চলছিল ভুয়ো কলসেন্টার। অভিযোগ, এখান থেকেই বহুজাতিক অনলাইন সংস্থার নামে ফোন যেত অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশে। বলা হতো সমীক্ষার জন্য ফোন করা হচ্ছে।
কাস্টমার সার্ভিসের কথা বলে জেনে নেওয়া হতো ব্যক্তিগত তথ্য। এরপরই, গ্রাহকদের থেকে হাতানো হতো কোটি কোটি টাকা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, তারাতলার এই কলসেন্টারে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখা। গ্রেফতার করে ১১ জনকে। এই অফিস থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু হার্ডডিস্ক।
অন্যদিকে, কড়েয়াতেও বেআইনি কল সেন্টারের হদিশ মেলে। লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে তল্লাশি চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।