সঞ্চয়ন মিত্র, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : নিম্নচাপ ও মৌসুমী অক্ষরেখার জেরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। যার জেরে জল জমে যায় কলকাতার কয়েক জায়গায়। বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় যান চলাচলে সমস্যা হয়। এদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সামনের সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।


নিম্নচাপের সঙ্গে মৌসুমী অক্ষরেখা। জোড়া ফলায় মঙ্গলবার দফায় দফায় বৃষ্টি হয় কলকাতায়। কলকাতার পাশাপাশি বৃষ্টি হচ্ছে বেশ কয়েকটি জেলাতেও। এদিন সকাল থেকেই মেঘলা কলকাতার আকাশ। বেলা একটু বাড়তেই শুরু হয় বৃষ্টি। আর তার জেরে জল জমে যায় উত্তর ও মধ্য কলকাতার বেশ কিছু এলাকায়।


আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, এদিন বেলা ১২টা পর্যন্ত পামার ব্রিজে বৃষ্টি হয়েছে ৪২ মিলিমিটার। কালীঘাট ও যোধপুরে বৃষ্টি হয়েছে ৪০ মিলিমিটার। বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে তপসিয়ায়। অন্যদিকে, গড়িয়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৮ মিলিমিটার। আবার, বালিগঞ্জ ও ঠনঠনিয়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৫ মিলিমিটার। বুধবার পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে আগামী সপ্তাহে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গোপসাগরে।  


নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। সুন্দরবন উপকূলবর্তী সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, কুলতলি, গোসাবাতে ভারী বৃষ্টি চলে। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস বয়। কটালের জেরে কাকদ্বীপের বিভিন্ন অংশে হু হু করে ঢুকে পড়ে জল। আতঙ্কিত বাসিন্দারা বাড়ি ছাড়তে শুরু করেন।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ এলাকায় প্রবল বৃষ্টিতে মুড়িগঙ্গা নদীর জল বেড়ে বিপন্ন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু এলাকা। অনেক বাড়িতে ঢুকে গেছে জল।  স্থানীয় বাসিন্দারা অন্যত্র সরে যাচ্ছেন। জোয়ারের জল ইতিমধ্যে ঢুকতে শুরু করেছে নামখানার মৌসুনি দ্বীপেও। দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। অনেকে বাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন। মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়ায় প্রায় ৫০০ মিটার সমুদ্র বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকেছে।