আবীর দত্ত, কলকাতা: ছেলে মেয়ে কেউ নেই। মাঝে মাঝে এসে যেতে দেখে যেতেন দূর সম্পর্কের আত্মীয়রা। সেই একাকী বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য সিঁথিতে।
মৃতের নাম তপতী চট্টোপাধ্যায়। সিঁথির কেদারনাথ দাস লেনের এই বাড়ির একতলায় একাই থাকতেন বৃদ্ধা। শুক্রবার রাতে ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন।
এরপর তাঁকে উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
মৃতার প্রতিবেশী বলেন, অনেকক্ষণ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তাতে সন্দেহ হল। পাড়ার লোকেরা মিলে বাড়িতে ঢুকে দেখি পড়ে রয়েছে। তখনই পুলিশকে খবর দিই।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি পড়ে গিয়ে বৃদ্ধার মাথায় চোট লাগে। সেই জায়গায় ব্যান্ডেজ করা ছিল। তা ছাড়াও তাঁর মাথায় গভীর ক্ষত রয়েছে।
মৃতার এক আত্মীয় বলেন, ওনার কোনও অসুবিধা ছিল না। কয়েকদিন আগেও কথা হয়েছিল।
শুক্রবারই তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে এই বৃদ্ধার।
তবে মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, তিনদিন ধরে ঘরে পড়ে থাকার পর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বাগডোগরা থানার অন্তর্গত ভুজিয়াপানি এলাকায় রাহুল ঝা নামের এক ব্যক্তির ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
মৃত ব্যক্তির নাম রামকিশোর গুরুঙ্গ। তিনি হাসিমারার বাসিন্দা ছিলেন। পুলিশ জানতে পেরে মৃত ব্যক্তি মৃত ব্যক্তি রাহুলের বন্ধু। রাহুল ও রামকিশোর একে অপরের বন্ধু হিসেবে একঘরে থাকতেন।
এদিন ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায়, স্থানীয় মানুষজনের সন্দেহ হয়। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘরে ঢুকে রামকিশোরের দেহ উদ্ধার করে। দেহে পচন ধরেছিল তাই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।
তিনদিন আগে মৃত্যু হলেও প্রশাসনকে কোনো খবর দেয়নি রাহুল ঝা, যা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। পুলিশ রাহুল ঝাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
পাশাপাশি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।