সন্দীপ সরকার, কলকাতা: শ্বাসনালিতে আটকে কুলের বীজ। এসএসকেএমে (sskm) এক বছরের শিশুর সফল অস্ত্রোপচার। পরিবার সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল শিলিগুড়ির বাসিন্দা ১ বছর ১ মাসের অঙ্কিতা বর্মন। সেখানে সিটি স্ক্যানে দেখা যায়, শিশুর ডানদিকের শ্বাসনালিতে কিছু আটকে রয়েছে। গতকাল এসএসকেএমের জরুরি বিভাগে এনে ব্রঙ্কোস্কোপি করে দেখা যায়, শ্বাসনালিতে আটকে রয়েছে কুলের বীজ। শিশুর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  


কিছুদিন আগে আরেক শিশুর অস্ত্রোপচার করে এসএসকেএণম। তবে সে বার শেষ রক্ষা হয়নি। জটিল অস্ত্রোপচারের পরেরদিনই মৃত্যু হয় তার। এ দিন  সকালে খেলতে গিয়ে কাজলের কৌটো গিলে ফেলে নিউটাউনের (Newtown) বাসিন্দা রীতেশ বাগদি। প্রথমে বিধাননগর ও পরে এনআরএস হাসপাতাল (NRS Hospital) সঙ্কটাপন্ন শিশুকে ফিরিয়ে দেয়। পরে এসএসকেএমে অস্ত্রোপচার করে শ্বাসনালি থেকে বের করে আনা হয় কাজলের কৌটো।


চিকিত্সকরা অনুমান করেন, এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল। দীর্ঘক্ষণ শ্বাসনালি আটকে থাকায় মস্তিষ্কে অক্সিজেন না পৌঁছনোয় শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অপারেশনের পর থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিল ওই শিশু। পরদিন সকালে তার মৃত্যু হয়।


এর  আগে উত্তরপ্রদেশে একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, মাত্র ১৬ ঘণ্টা। তারমধ্য়েই একশোটিরও বেশি চোখের অপারেশন করে ফেলেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের এক ডাক্তার। ওই ডাক্তার এসপি সিং (SP Singh) প্রয়াগরাজের এমএলএন মেডিক্যাল কলেজের (MLN medical college) প্রিন্সিপ্যাল এবং রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজির (regional institute of ophthalmology) ডিরেক্টর।  


২৫ ফেব্রুয়ারি বিনামূল্যে চোখ অস্ত্রোপচারের ওই শিবিরটি হয়েছিল। সেখানেই ১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পরপর অস্ত্রোপচার চলে। ১০৭ জনের ফ্যাকোমালসিফিকেশন (phacoemulsification) করা হয়। ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছিল শিবির। চলে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত। ওই সময়টা ধরে টানা একের পর এক অস্ত্রোপচার চলে। সবার অস্ত্রোপচারের পর চোখে লেন্সও বসানো হয়েছে।