সৌমিত্র রায়, কলকাতা: মোহনবাগানে (Mohun Bagan Athletic Cluc) ক্লাব কমিটির ভোটের মনোনয়নে অশান্তি, ময়দান থানার (Maidan Police Station) হাতে গ্রেফতার চার অভিযুক্ত।


এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করে বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম, ক্লাবগুলি এখন রাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছে। মোহনবাগানের মতো ক্লাবের নির্বাচনেও এরকম ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।’


ক্লাব কমিটির নির্বাচনের মনোনয়ন জমার শেষ দিন নজিরবিহীন ঘটনা দেখা যায় মোহনবাগান ক্লাবে। ব্যাট-বাঁশ দিয়ে সমর্থকদের মার! ফাটল মাথা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনজন। 


অতীতে বার্ষিক সাধারণ সভায় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, নির্বাচন ঘিরে এহেন রক্তারক্তিকাণ্ড কলকাতা ময়দান আগে কখনও দেখেছে কি না সন্দেহ!


সবুজ মেরুনে ক্লাব-কমিটি নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল শনিবার। ডেডলাইন বিকেল পাঁচটা। ভিতরে তখন ইলেকশন-কমিটির সঙ্গে বৈঠকে ক্লাব-কর্তারা। বাইরে ক্লাবের লনে তখন বহু মানুষের ভিড়। তখনই হঠাৎ দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। সেখান থেকে হাতাহাতি। ব্যাট-উইকেট নিয়ে হামলা। মারধর। প্রাণে বাঁচতে ক্লাবের ভিতর ঢুকে আশ্রয় নেন অনেকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


পার পায়নি সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িটিও। তিনি জানিয়েছেন, ‘কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা জানি না, ভিতরে ছিলাম। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।’


বহিরাগতরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই, দাবি ক্লাব কর্তৃপক্ষের। সবুজ মেরুনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠায় ময়দান থানায় ফোন করে খবর দেন বিদায়ী অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।


শাসক গোষ্ঠী ক্লাব কমিটির প্রতিটি পদে প্রার্থী দিয়েছে। সচিব পদে মনোনয়ন দিয়েছেন দেবাশিস দত্ত। ফুটবল সচিব পদে মনোনয়ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শাসক কমিটি প্রতিটি পদে প্রার্থী দিলেও, সূত্রের খবর, বিরোধী গোষ্ঠীর হয়ে মাত্র একটি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সেটি পড়েছে কার্যকরী কমিটির সদস্য পদে। ফলে, সচিব, সহ সচিব-সহ বাকি পদগুলিতে কোনওরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। এই পরিস্থিতিতে ক্লাব প্রাঙ্গণে এমন হিংসা, হানাহানির ঘটনা কীভাবে ঘটল, সেই প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসছে ফুটবল মহলে।