পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ঠাকুরপুকুরে কিশোরীকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার স্থানীয় এক যুবক। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


রবিবার বিকেলে পড়তে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল কিশোরী। রাতে পাওয়া গেল অসুস্থ অবস্থায়। অপহরণ করে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ঠাকুরপুকুরে।


পরিবারের দাবি, শনিবার বিকেলে টিউশন যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয় কিশোরী। সন্ধ্যায় তাকে পাওয়া যায় জেমসলং সরণি ও এমজি রোডের ক্রসিংয়ে।


কিশোরীকে উদ্ধার করা ব্যক্তি বলেন, রাতে দেখতে পাই মেয়েটি কাঁদছে। শুনলাম দুজন বাইকে করে নামিয়ে দিয়ে গেছে। অসুস্থ মনে হচ্ছিল। পুলিশে খবর দিই।


পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অনুপ হালদার নামে বছর ২৬-এর এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত যুবক কিশোরীর পূর্ব পরিচিত। ধৃতের বিরুদ্ধে অপহরণের পাশাপাশি পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। 


এর আগে, শনিবার, কলকাতার ফুলবাগানে বন্ধুর মায়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ফুলবাগান থানার পুলিশ। 


অভিযোগকারিণীর দাবি, বৃহস্পতিবার ছেলের খোঁজে বাড়িতে আসে তার বন্ধু সুরজিৎ দাস। অভিযোগ, গালিগালাজ করার পর বন্ধুর মায়ের শ্লীলতাহানি করে বছর ত্রিশের ওই যুবক। 


অভিযোগকারিনীর দাবি, ঘটনার দিন তাঁর ছেলে বাড়িতে ছিল না। সেই সময় বাড়িতে এসে তাঁকে গালাগালাজ করে। দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে অভিযুক্ত তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।


অভিযোগকারিণীর ছেলের দাবি, বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল থাকা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন তিনি। 


গত সপ্তাহের গোড়ায় চিকিৎসাধীন রোগিণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বেসরকারি হাসপাতালের নার্সিং স্টাফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


পরিবার সূত্রে খবর, ৩১ জুলাই থেকে বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সল্টলেকের বাসিন্দা বছর চব্বিশের তরুণী। 


৫ তারিখ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিত্সক ইঞ্জেকশন দেওয়ায় তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। অভিযোগ, সেইসময় তাঁর শ্লীলতাহানি করেন হাসপাতালের নার্সিং স্টাফ।


রোগিণী বিষয়টি পরিবারকে জানালে তারা ১০০ ডায়ালে ফোন করে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর হাসপাতাল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আনন্দপুর থানার পুলিশ।