পার্থপ্রতিম ঘোষ, ঋত্বিক মণ্ডল ও ঝিলম করঞ্জাই: শুধুমাত্র আজই দেওয়া হবে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। জোগান কম থাকায় মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে কোভিশিল্ড দেওয়া। তবে চালু থাকবে কোভ্যাক্সিন সেন্টারগুলি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানাল কলকাতা পুরসভা।


কলকাতা পুরসভার সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত ৬ ও ৭ অগাস্ট কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিনেশন বন্ধ ছিল। কোভিশিল্ডের ডোজের অভাবেই তৈরি হয় এই পরিস্থিতি।


কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিনেশেন বন্ধের নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয় কসবার হালতু থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, পুরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শুধুমাত্র কোভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয় ওই দু’দিন। 


ভ্যাকসিনের আকালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে রাজনৈতিক তরজাও। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, মমতা কিনতে চাইলে দেয়নি, এখন দিচ্ছে না। কোভিশিল্ডের সেকেন্ড ডোজ ১ লক্ষর ওপর পাওনা, মোদি দায়িত্ব নিয়েছেন উনি দিন। 


সেই সমস্যা আপাতত মিটতে চলেছে। শনিবার, কোভিশিল্ডের সাড়ে তিন লক্ষ ও কোভ্যাক্সিনের ১ লক্ষ ডোজ আসে কলকাতায়। সোমবার থেকে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিনেশেন হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান।  


শনিবারই কোভিশিল্ডের সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ডোজ এসেছে কলকাতায়।  কোভ্যাক্সিনের এসেছে ১ লক্ষ ডোজ। কোল্ড চেন অফিসার অমলেশ বিশ্বাস বলেন, রাজ্য ভ্যাকসিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে ১ নম্বরে।


স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতার জন্য বরাদ্দ হয়েছে কোভিশিল্ডের ৪০ হাজার ডোজ। এর মধ্যে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির জন্য ৩০ হাজার ডোজ বরাদ্দ হয়েছে। 


এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে রাজ্যের জন্য আরও ভ্যাকসিন চাইলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, রাজ্যের জনসংখ্যা ১০ কোটির বেশি। 


সে জায়গায় ২ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ৩ কোটির কিছু বেশি মানুষ করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছেন।  রাজ্যের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ এখনও ভ্যাকসিন পায়নি। 


করোনার থার্ড ওয়েভের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের ভ্যাকসিনের কোটা আরও বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। 


ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগে একাধিকবার সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কার্যত একই সুরে রাজ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অধীর।