ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর। আপাতত মেটারনিটি বিভাগের অপারেশন থিয়েটার ও লেবার রুমে এই কমিটি কাজ শুরু করবে। পরে অন্যান্য ওটি-তেও সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়টি দেখবে কমিটি। করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই সতর্ক রাজ্য সরকার। তার জন্যই রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রক কমিটি তৈরির নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালগুলিতে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনার প্রকোপ ক্রমাগত যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২০১১ থেকে ২০১৪-র মধ্যে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালকে আইএসও-র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল যাতে পরিষেবার নির্দিষ্ট মান বজায় রাখা যায়।  এই পরিস্থিতিতে করোনা চিকিত্‍সার পাশাপাশি অন্যান্য রোগের চিকিত্‍সা পরিষেবার গুণগত মান যাতে বজায় রাখা যায়, তার জন্যই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। ইনফেকশন কন্ট্রোল কমিটির আওতায় থাকবে ইনফেকশন কন্ট্রোল মেডিক্যাল টিম ও ইনফেকশন কন্ট্রোল নার্স।  ইনফেকশন কন্ট্রোল কমিটি এবং তার অধীনে থাকা দুটি টিম কীভাবে কাজ করবে, দলে কারা থাকবেন, তার রূপরেখাও তৈরি করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।


কিন্তু কেন এই কমিটি গঠন করার প্রয়োজন হল? জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন,  ‘টিকাকরণ নিয়ে সমস্যার মূলে অনিয়ম। অপর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ। সুষ্ঠ কোনও নীতি ছাড়া এই সমস্যার সমাধান কোনওভাবেই সম্ভব নয়। ভ্যাকসিন কোথায় কতটা লাগবে, তা আমরা জানি। কিন্তু সরকারকেও সেই ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।’


প্রথমে এই কমিটিকে সক্রিয় করা হবে মেটারনিটি ওপারেশন থিয়েটার এবং লেবার রুমে। এরপর ধাপে ধাপে অন্যান্য অপারেশন থিয়েটারে সক্রিয় হবে কমিটি।  স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রক কমিটি মাসে একবার করে বৈঠকে বসবে। রিভিউ হবে প্রতিমাসে। এরপরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।