অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: গাড়িতে বাতি লাগানো নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল পরিবহণ দফতর। বিপর্যয় মোকাবিলা ও জরুরি পরিষেবায় নিযুক্তদের গাড়িতে নীলবাতি-লালবাতি নয়, লাগাতে হবে মাল্টিকালার বাতির প্যানেল। এখন থেকে গাড়িতে তিনরঙা বাতি ব্যবহার করবেন তাঁরা। রাজ্য পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নীলবাতির বদলে ব্যবহৃত হবে লাল-নীল-সাদা, মাল্টিকালারের প্যানেল। পুলিশের পাইলট কারে যেমনটা থাকে।


প্রশাসনের তরফে প্রকাশিত এই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রী, মুখ্য সচিব সহ শীর্ষ সচিবরা। রয়েছেন ডিজি, এডিজি, এসপি সহ শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক এবং ডিএম, পুর-কমিশনারের মতো প্রশাসনিক কর্তারা। তবে এই তালিকায় নেই রাজ্যপাল, বিচারপতি সহ ভিভিআইপিরা এই তালিকা অন্তর্ভুক্ত নন। বিতর্ক এড়াতে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, 'রাজ্যপাল, বিচারপতিদের ক্ষেত্রে পুরনো নির্দেশিকাই বহাল থাকছে। তাঁদেরকে এর মধ্যে ধরা হয়নি। তাঁরা সবসময়ই ভিভিআইপি। তাঁদের সঙ্গে পুর কমিশনার, সিপি, এঁদের তুলনা চলে না। এ নিয়ে একটা বিভ্রান্তি বা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটা শুধু এমার্জেন্সি সার্ভিসের জন্য।'



১৯৮৯ সালের কেন্দ্রীয় মোটরযান আইন সংশোধন করে, ২০১৭-র পয়লা মে, গাড়িতে বাতি লাগানো নিয়ে সংশোধনী নির্দেশিকা জারি করে পরিবহণ মন্ত্রক। সেই সংশোধনী নির্দেশিকার ওপর ভিত্তি করেই শুক্রবার নতুন একটি নোটিফিকেশন জারি করে পরিবহণ দফতর। ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই শহরে একের পর এক নীলবাতির অপব্যবহারের ছবি দেখা যায়। নিয়ম বর্হিভূতভাবে নীলবাতি ব্যবহারের একাদিক ঘটনা সামনে আসতে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে নীলবাতি লাগানো গাড়ি পাকড়াও করে পুলিশ।  


এ প্রসঙ্গে পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, দেবাঞ্জনকাণ্ডে প্রথম নীলবাতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তারপরই এ নিযে ধরপাকড়। এদিকে শুক্রবারই নারী ও রূপান্তরকামীদের সুরক্ষার জন্য গণ পরিবহণে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পরামর্শ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী। দ্রুত যে পরামর্শ বাস্তবায়নের ইঙ্গিতও দেন তিনি।