প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: কোটি টাকার বেশি আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়লেন ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির কোষাধ্যক্ষ। সূত্রের খবর, অফিসের টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছিলেন তিনি। 


ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে প্রায় ২ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল। CBI-এর জালে ফ্যাক্টরির কোষাধ্যক্ষ। মঙ্গলবার অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের হাতে গ্রেফতার হন ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির কোষাধ্যক্ষ মধুসূদন মুখোপাধ্যায়। 


কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা তছরুপ করার অভিযোগ রয়েছে মধুসূদন মখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল অভিযোগ দায়ের করেন ফ্যাক্টরির চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার। এরপরেই তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআই। সূত্রের খবর, প্রথমে মধুসূদন মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সেখানে একাধিক অসঙ্গতি থাকায় শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় কোষাধ্যক্ষকে। 


ধৃত কোষাধ্যক্ষ মধুসূদন মুখোপাধ্যায়কে বুধবার বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাঁকে ২ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না তারও খোঁজ চলছে। ধৃতকে জেরা করে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা।


অত্যাধুনিক স্নাইপার রাইফেল লঞ্চ করল ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি। ৭.৬২ এমএম-এর স্নাইপার রাইফেলের দাম আড়াই লক্ষ টাকা। আটশো মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে সক্ষম এই অত্যাধুনিক রাইফেল। 


টেলিস্কোপ বসানো দূরপাল্লার আগ্নেয়াস্ত্র। পোশাকি নাম স্নাইপার রাইফেল। জঙ্গি মোকাবিলায় এর জুড়ি মেলা ভার। মঙ্গলবার এরকমই অত্যাধুনিক স্নাইপার রাইফেল প্রকাশ্যে আনল ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি। রাইফেলটি ৮০০ মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে সক্ষম। ওজন- ৬ থেকে ৭ কেজি। গুলি- ৭.৬২ এমএম। দাম- আড়াই লক্ষ টাকা।


রাইফেল লঞ্চ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারও। স্নাইপ পাখির নাম থেকে এই রাইফেলের নাম। স্নাইপ পাখিকে শিকার করা অত্যন্ত কঠিন। যেখানে থাকে সেখানকার রঙের সঙ্গে মিশে যায়।


আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে খুন, গ্রেফতার স্ত্রী ও পিসতুতো ভাই