কলকাতা:  কলকাতায় মিনিয়াপোলিস ছায়া। চোর সন্দেহে ধরা যুবককে বুকে পা তুলে বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। সমগ্র ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন শহরের পুলিশ কমিশনার। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত ভলান্টিয়ারের সাফাই, তিনি বুঝতে পারেননি। ধরে রাখতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। পুরো ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত বলেও জানিয়েছেন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার।


উল্লেখ্য, চোর সন্দেহে আটক যুবককে মাটিতে ফেলে বুট দিয়ে বুকে-পেটে লাথি মামার অভিযোগ ওই  সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে এক্সাইড মোড়ের কাছে। পুলিশের দাবি, চলন্ত বাসে মহিলা যাত্রীর ব্যাগ ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করেন ওই যুবক। এরপর রাস্তায় যুবককে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর শুরু করেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। মাটিতে ফেলে বুট দিয়ে বুকে লাথি মারতে থাকেন। উপস্থিত ছিলেন সাউথ ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা। পরে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার তন্ময় বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করা হয়। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। এমন ঘটনা ঘটা উচিত হয়নি, আমি বিব্রত। জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। কীভাবে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটল, তা জানতে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে সাউথ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ও ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টকে।


সাসপেন্ড সিভিক ভলান্টিয়ার বলেছেন, বাস থেকে এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাই করে ওই যুবক পালিয়ে যাচ্ছিল। তাকে বাসের ভেতরের ও বাইরের লোকজন মারতে শুরু করে। আমি তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করি। অনেক সময় এ ধরনের লোকজনের কাছে ব্লেড বা কোনও অস্ত্র থাকে।  এত লোকের মাঝেও সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। গায়ে প্রচণ্ড জোর ছিল ওই ব্যক্তির। ওকে ধরে রাখার চেষ্টা করছিলাম। তবে এমন হবে বুঝতে পারিনি। গায়ে পা তোলা ঠিক হয়নি।


প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, অভিযুক্তকে এখনও কেন গ্রেফতার নয় ? দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।