কলকাতা : শুধুমাত্র রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার নিদান দিয়েছেন দলনেত্রী (Mamata Banerjee)। কিন্তু পুরভোটের প্রচারে চিনেবাদামের গুণ গাইতে দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে (Madan Mitra), তা-ও আবার ‘কাঁচাবাদাম’ গেয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যাওয়া ভুবন বাদ্যকরের (Viral Peanut Selelr) পাশে দাঁড়িয়ে, তাঁরই ঝুড়ি থেকে বাদাম ছাড়িয়ে খেতে খেতে।
শনিবার চারু মার্কেটে দলের হয়ে পুরভোটের ((Kolkata Municipal Election 2021) প্রচারে নামেন মদন। সেখানেই ভুবনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়ে যায় তাঁর। তার পর আর কী, দলবল নিয়ে ভুবনের পাশেই দাঁড়িয়ে পড়েন জোড়াফুলের ‘রঙিন ছেলে’ মদন। হাত বাড়িয়ে ভুবনের ঝুড়ি থেকে মুঠোভরে বাদামও তুলে নেন। হাতের দুই তালুতে পিষে খোসা ছাড়িয়ে দু’-একটা চালানও করেন মুখে।
তবে শুধু ‘বাদাম বাদাম’ বলে হাঁক পাড়বেন, গান শুনবেন আর বাদাম খেয়ে চলে যাবেন মদন, তা হতে পারে না। তাই বাঙালির জীবনে চিনেবাদামের মাহাত্ম্যও বিশদে ব্যাখ্যা করেন। মদন বলেন, ‘‘বাদাম হচ্ছে বাংলার সংস্কৃতি। এ ভাবে যদি বাদাম বিক্রি করে কেউ, সঙ্গে গান শোনা যায়, আর একটা মৃদঙ্গ যদি থাকে, সুপার্ব। ওহ্ লাভলি।’
মদনের কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে বাংলায় আমার চেয়ে যদি কারও টিআরপি বেশি হয়, সেটা হচ্ছে এই কাঁচাবাদাম। ভিক্টোরিয়া, ইকোপার্ক, রবীন্দ্র সরোবর, নন্দনে গেলেই পাওয়া যাবে। আমি তৃণমূল কর্মী। আমি কি আমার ছেলেদের বাদাম খাওয়াতে পারি না ?’’
তবে বাদাম খেতে গিয়ে এবং ভুবনের গলায় ‘কাঁচাবাদাম’-এর আহ্লাদে রাজনীতি মোটেও ভোলেননি মদন। তাই নাম না করেই বিজেপি-র উদ্দেশে বার্তা ছুড়ে দেন, ‘‘খেলার আগে সমস্ত খেলোয়াড় বাদাম খায়। খেলা ভাঙার পর যখন ১৪৪-০ হয়ে ফিরে যাবে। তখনও হাতে কাঁচাবাদামই থাকবে। এ বারে বুথে বুথে কাঁচাবাদাম থাকবে। আমি মুড়ি -বাদাম দিয়ে দেব। বাদাম খেতে খেতেই বুথে বুথে চিত্রনাট্য লিখবে আমাদের ছেলেরা।’ ভোটের দিন বুথে বুথে বাদাম নিয়ে ভুবনকে হাজির হওয়ার নির্দেশও দেন মদন। সঙ্গে জানিয়ে দেন, আগে পয়সা, তার পর গান এবং বাদাম। এ কথা যেন মনে রাখেন ভুবন।