কলকাতা: এখন রেল চালালে দুনিয়ার লোকের কোভিড হবে। লোকাল ট্রেন পরিষেবা প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের জন্য গড়াচ্ছে না রেলের চাকা। বিভিন্ন ডিভিশনে চলছে শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। আর ট্রেন চালানোর জন্য বিভিন্ন স্টেশনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই আবহে তাঁদের প্রশ্ন কবে থেকে চলবে লোকাল ট্রেন?  সেই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, আগে করোনা সংক্রমণ কমানোই গুরুত্বপূর্ণ।


এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগে কোভিড কমাতে দিন। এসবে সমস্যা হবে, এটা তো জানা কথা। এখন রেল চালালে দুনিয়ার লোকের কোভিড হবে। তাও তো দোকানপাট চালু করা আছে। অনেক জায়গায় ওয়ার্ক ফ্রম হোম হচ্ছে। সব্জি বিক্রেতারা গাড়িতে করেও আসতে পারছেন।” গত ১৩ জুন রাজ্যকে চিঠি দেয় রেল। সেখানে রেল উল্লেখ করে, যত সংখ্যক ট্রেন চলছে তা অত্যন্ত কম। রেলের যাত্রী ছাড়াও, স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যাঙ্ক কর্মীদের ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বহু মানুষ ট্রেনে উঠছেন। যাঁর ফলে দূরত্ব বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না।


উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধে  কিছু ছাড় মিললেও  বন্ধ সর্ব সাধারণযাত্রীদের জন্য বাস, মেট্রো ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা। গত কয়েকদিনে ধরে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। গতকাল সোনারপুরের পর আজ মল্লিকপুরে বিক্ষোভ দেখান ট্রেনের যাত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে ফেরে রাজ্যকে চিঠি দেয় রেল। যেখানে তারা বলেছে, স্টাফ স্পেশালে এত যাত্রী নেওয়া সম্ভব নয়। লোকাল পরিষেবা স্বাভাবিক না হলে, বাড়ছে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা।


এদিন লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে সোনারপুর স্টেশনে সকাল ৭টা থেকে রেল অবরোধ শুরু হয়। আটকে পড়ে আপ ক্যানিং লোকাল স্টাফ স্পেশাল। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি বেধে যায় অবরোধকারীদের। একঘণ্টা পর লাঠি উঁচিয়ে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রেলের স্টাফ স্পেশালে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে দিতে হবে।না হলে দ্রুত চালু করতে হবে লোকাল ট্রেন। গতকালও লোকাল চালুর দাবিতে ৪ ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে সোনারপুর স্টেশনে। পাশাপাশি বারুইপুর শাখার মল্লিকপুর ও ক্যানিং শাখার বেতবেড়িয়া, ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু হয়। মল্লিকপুরে জিআরপি-কে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি অবরোধকারীদের। জিআরপির গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়।