আবীর দত্ত, কলকাতা: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) কাঁদরা থেকে গ্রেফতার শীর্ষ মাওবাদী নেতা (Maoist Leader)। ঝাড়খণ্ড পুলিশের (Jharkhand Police) জালে শীর্ষ মাওবাদী নেতা প্রশান্ত বসু (Prasant Basu) ওরফে কিষাণ দা (Kishanji)। প্রশান্ত বসু ও তার স্ত্রী সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মাওবাদী পলিটব্যুরোর সদস্য প্রশান্ত বসু। বাংলা-ঝাড়খণ্ড-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের (North-East India) দায়িত্বে ছিলেন প্রশান্ত। ২০০৬-এ ওড়িশা থেকে গ্রেফতার হন প্রশান্তর স্ত্রী শীলা মারান্ডি। পরে জেল থেকে ছাড়া পান শীলা মারান্ডি। একসময় যাদবপুরে থাকতেন প্রশান্ত বসু ওরফে কিষাণ দা। উল্লেখ্য ৭৫ বছর বয়স এই প্রশান্ত বসুর। শারীরিকভাবেও অসুস্থ। কাজেই তার চিকিৎসার দিকটিও খেয়াল রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। 


উল্লেখ্য, ১১ বছর ধরে মামলা চলার পর, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বেকসুর খালাস পেয়েছেন মাওবাদী নেতা (Maoist Leader) তেলুগু দীপক। কিষেণজির ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি (CID) নাশকতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল। আলিপুর আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী একাধিক অভিযোগ থাকলেও পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলেনি। রায়ের বিরুদ্ধে এবার উচ্চ আদালতে যাচ্ছে রাজ্য।


তাঁর বিরুদ্ধে এক দশকের বেশি সময় ধরে চলছিল মামলা। শেষমেশ বেকসুর খালাস পেলেন মাওবাদী নেতা তেলুগু দীপক। শুক্রবার আলিপুর আদালত রেহাই দেয় কিষেণজি ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে। ২০১০ সালে সরশুনা থেকে তেলুগু দীপককে গ্রেফতার করে CID। সিআইডি সূত্রে খবর, ২৪ জন EFR জওয়ানের হত্যা, সাঁকরাইল থানার ওসিকে অপহরণ-সহ একাধিক ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল তেলুগু দীপকের বিরুদ্ধে। UAPA, ভারতীয় দণ্ডবিধি ও অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।


তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নন্দীগ্রামের জেলিংহ্যাম থেকে উদ্ধার হয় একে 47। ১১ বছর পর মামলা চলার পর, বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে ফাস্ট ট্র্যাক তিন নম্বর কোর্টের বিচারক বেকসুর খালাসের কথা জানান। আদালত সূত্রে খবর, তদন্ত প্রক্রিয়ায় গাফিলতির কারণে বিচারক বেকসুর খালাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


তেলুগু দীপকের আসল নাম ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি। সিআইডি সূত্রে খবর, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর, মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত হন। কিষেণজির সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসেন বাংলায়। মাওবাদীদের ট্রেনিং দেওয়া থেকে বিস্ফোরক বানাতে পারদর্শী ছিলেন তেলেগু দীপক। বেকসুর খালাস পেলেও, এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না তেলুগু দীপক। আদালত সূত্রে খবর, আরও কিছু মামলা রয়েছে। সেগুলির জামিনের শর্ত পূরণ হয়েছে কি না তার নথি দেখবে জেল।