ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হচ্ছেন রঘুনাথ মিশ্র। এমনটাই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। তিনি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ছিলেন। গত বুধবার মেডিক্যালের অধ্যক্ষ মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। তিনি অবসরের পর এতদিন দায়িত্বে ছিলেন।
গত মাসে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হয়। স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশ করা হয় তার তালিকা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে ফের নিয়োগ করা হয় উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাজিকে। বিধানসভা ভোটপর্বে তিনি পদত্যাগ করায় এতদিন চেয়ারম্যানের পদটি খালি ছিল।
এছাড়া এসএসকেএম হাসপাতালে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেই রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে রাখা হয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য হয়েছেন বিসি রায় শিশু হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। বিসি রায় ইনস্টিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক পোস্ট গ্রাজুয়েট সায়েন্সের দায়িত্বে বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শান্তনু সেন। ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্বে রয়েছেন এন্টালির বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা। সুব্রত বক্সী হয়েছেন চিত্তরঞ্জন সেবা সদনের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। সাগর দত্ত মেডিক্যালের দায়িত্বে রয়েছেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়।
জেলার বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজে মন্ত্রী, বিধায়ক বা বিশিষ্ট ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও বাঁকুড়া, মালদা, মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হয়েছে সেইসব জেলার জেলাশাসককে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, নতুন করে দায়িত্ব বণ্টনের পাশাপাশি হাসপাতালে রোগী পরিষেবার মান আরও উন্নত করার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, ১১ ডিসেম্বর রাতে এক অন্তঃসত্ত্বার দ্রুত চিকিৎসা শুরুর দাবিতে তাঁর আত্মীয়া দুই জুনিয়র চিকিৎসকে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে রাত ১১টা নাগাদ কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। জরুরি বিভাগের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ১২ ডিসেম্বর সকাল ৭টা নাগাদ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। জরুরি পরিষেবা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েন অন্য রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাড়াতে অতিরিক্ত ২৫ জন রক্ষী নিয়োগ করা হবে। তা না করা গেলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে রাতের শিফটে কোনও জুনিয়র চিকিত্সক বা ইন্টার্ন রাখা হবে না।