সত্যজিৎ বৈদ্য ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: নারকেলডাঙায় (Narkeldanga) চার্জ দেওয়ার সময় ব্যাটারি চালিত স্কুটারে (Battery Scooter) বিস্ফোরণ (blast)। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিন জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের কয়েকটি বাড়িও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


শনিবার মাঝ রাতে আগুনে জ্বলছে বাড়ির একাংশ। সেই আগুনেই পুড়লেন বাড়ির তিন সদস্য। তাঁদেরর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও কয়েকটি বাড়ি। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে কলকাতার নারকেলডাঙার ষষ্ঠীতলা রোডে। আতঙ্কে এলাকাবাসী।


স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার রাতে বাড়িতে চার্জ দেওয়া হচ্ছিল ব্যাটারি চালিত একটি স্কুটারে। গভীর রাতে তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। কেঁপে ওঠে এলাকা। ছড়িয়ে পড়ে আগুন। 


বিকট শব্দ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন তিনজনকে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে ডিসান হাসপাতালে। বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, কাছাকাছি দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়ায়।


উল্লেখ্য, এদিন রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। পেশায় পুরোহিত ওই যুবক বাড়িতে একাই থাকতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকালে বাড়িতে আগুন লাগার পর তিনি বের হতে পারেননি। দমকল সূত্রে খবর, কী থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।


দাউদাউ করে জ্বলছে ঘর। ভিতর থেকে ‘বাঁচাও... বাঁচাও’ চিত্‍কার শুনতে পেয়েছেন প্রতিবেশীরা।  কিন্তু বাঁচানো যায়নি অগ্নিব্যুহে আটকে পড়া যুবককে।  অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার পূর্ব পুঁটিয়ারির পশ্চিম আনন্দপল্লিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, টালির চালের এই দু’কামরার বাড়িতে একা থাকতেন ৩৫ বছরের গৌতম চক্রবর্তী। পেশায় ছিলেন পুরোহিত। এদিন সকালে আচমকাই তাঁর বাড়িতে আগুন ধরে যায়।  দাউদাউ করে ধোঁয়া বেরোতে থাকে।  ঘরে আটকে পড়েন গৌতম।  


প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।  টালির চাল ভেঙে গৌতমকে বের করে আনার চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি।  দমকলের ১টি ইঞ্জিন বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও তখন সব শেষ।  দরজা ভেঙে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় গৌতমকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্‍সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।