কলকাতা:  দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের পর্দাফাঁসের পর হতবাক গোটা রাজ্য। এরই মধ্যে সামনে এসেছে কসবার বাসিন্দা এক ভ্যাকসিন গ্রহীতার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।


৬৫ বছরের এই প্রৌঢ়ার দাবি, গত ২৭ এপ্রিল দক্ষিণ কলকাতার এনজি মেডিকেয়ার থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন। ২ মাসের বেশি কেটে গেলেও মেলেনি ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট। মোবাইল ফোনে কোনও মেসেজও আসেনি বলে দাবি প্রৌঢ়ার। 


অভিযোগকারিণীর দাবি, কোভিশিল্ড দেওয়ার কথা জানানো হলেও, হাসপাতালের রসিদে ভ্যাকসিনের নামের উল্লেখ করা হয়নি। সম্প্রতি ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড প্রকাশ্যে আসায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। শেষপর্যন্ত গড়িয়াহাট থানার দ্বারস্থ হন তিনি। 


ভ্যাকসিন-দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে এনজি মেডিকেয়ার কর্তৃপক্ষ। ম্যানেজার ভি ভি শর্মা বলেন, প্রযুক্তির ত্রুটি হয়েছিল। পরে, আমরা ভুলে গেছি আপডেট করতে। সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 


এই পরিস্থিতিতে কবে, কীভাবে মিলবে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ, তা নিয়ে সংশয়ে কসবার প্রৌঢ়া। 


কলকাতায় যখন ভ্যাকসিন নিয়েও সার্টিফিকেট পাননি গ্রহীতা, ঠিক উলটপূরাণ ঘটেছে বর্ধমানে। সেখানে আবার ভ্যাকসিন না নিয়েই গ্রহীতা পেয়েছেন সার্টিফিকেট। 


গত ৬ এপ্রিল বর্ধমান পৌরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেন বর্ধমান শহরের টিকরহাটের বাসিন্দা ৫৭ বছরের উত্তম সাহা। এরপর তিনি কোউইন অ্যাপ থেকে প্রথম ডোজের সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে জানতে পারেন দ্বিতীয় ডোজ তাঁকে ২৯ জুন থেকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে নিতে হবে।


সেইমত তিনি কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে কয়েকদিন আগে শ্লট বুকিং করেন। তাঁকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালের অধীন দুর্গাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩ জুলাই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার স্লট বুকিং দেওয়া হয়। 


কিন্তু তিনি ডায়াবেটিক রোগী। সেই কারণে কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে বুকিং ক্যানসেল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই অ্যাপের মাধ্যমে তা তিনি করতে পারেননি।


উত্তমবাবুর দাবী, তিনি ৩ জুলাই দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নিতে যেতে পারেননি। তা সত্ত্বেও ওইদিনই তার মোবাইলে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট চলে আসে।


এমনকী কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে ডাউনলোডও করা যাচ্ছে। সোমবার তিনি এই বিষয়ে জেলা শাসকের দ্বারস্থ হন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল ত্রুটি সংশোধন করে তাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।