ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সরব প্রখ্যাত মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী নোয়াম চমস্কি। ভারতবর্ষ সহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৬১ জন শিক্ষাবিদের সমর্থনে চিঠি পাঠানো হল। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠিয়েছেন ২৬১ জন। উপাচার্যের বিরুদ্ধে সাক্ষর অভিযানে সামিল অমর্ত্য সেনের কন্যাও।                                                


রাষ্ট্রপতিকে চিঠি:     
দীর্ঘ ৪ বছরে একাধিক অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, পড়ুয়াকে সাসপেণ্ড, বরখাস্ত করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবার উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরব ভারতবর্ষের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষাবিদরা। শুধু তাই নয়, উপাচার্যের বিরুদ্ধে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।


কাদের সমর্থন:



  • ওই চিঠিতে সমর্থন জানিয়েছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রখ্যাত তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানী নোয়াম চমস্কি।

  • সমর্থন জানিয়েছেন, আলবামা হান্টসভিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্থনি ডিকোস্টা

  • সমর্থনে ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ জয়তি ঘোষ সহ আরও অনেকে।

  • সমর্থন জানিয়েছেন হায়দরাবাদ, দিল্লি, কলকাতা, যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা।

  • সমর্থনে কল্যাণী, রবীন্দ্রভারতী, বিশ্বভারতী, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা।

  • সমর্থন জানিয়েছেন দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিকস, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারাও।


বারবার অশান্তি:
নতুন বছরেও অশান্তির ছবি বদলাচ্ছে না শান্তিনিকেতনে। জানুয়ারিতেই ক্লাস বয়কট কর্মসূচি ঘিরে তুলকালাম হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলেছে আন্দোলন। তার জেরে শিক্ষাঙ্গনে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ, আন্দোলনকারী ৭ জন পড়ুয়ার উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহার, অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগের বরখাস্ত অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে কাজে ফেরানো-সহ একাধিক দাবিতে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই বিশ্বভারতীতে ক্লাস বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। আন্দোলনকারীরা শিক্ষা ভবন ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বাধা দেন। তাতেই তেতে উঠেছিল পরিস্থিতি। উল্টোদিকে আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধেও ক্লাস করতে আসা অন্য় পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, একটি বৈঠক চলাকালীন তাদের অন্ধকারে রেখে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে কর্তৃপক্ষ। তাতে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। 


এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরের গবেষক অধ্যাপকদের এমন চিঠিতে সরগরম শিক্ষামহল। 


আরও পড়ুন: 'এভাবে চললে ব্য়বসা বন্ধ করে দিতে হবে,' কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে প্রতিক্রিয়া জাকির হোসেনের