সন্দীপ সরকার, কলকাতা: শিশুর মাথা থেকে ঝুলছে রক্ত বের হওয়ার নল। লাগানো ক্যাথিটার। সেই অবস্থায় কোলে করে শিশুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিটিস্ক্যান করাতে। অব্যবস্থার ছবি ধরা পড়ল এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে।
২ দিন আগে ব্রেন সার্জারি হয়েছে ৩ বছরের শিশুর। রক্তক্ষরণ হওয়ায় মাথা থেকে ঝুলছে নল। মায়ের হাতে ধরা নল লাগানো পাত্র ও ক্যাথিটার। বাবার কোলে শিশু।
পরিবার সূত্রে খবর, বসিরহাটের বাসিন্দা ৩ বছরের ওই শিশু খাট থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পায়। ভর্তি করা হয় এনআরএসের ফিমেল সার্জারি ওয়ার্ডে।
শুক্রবার শিশুর ব্রেন সার্জারি হয়। পরিবারের অভিযোগ, আজ সিটি স্ক্যান করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি চাকা ভাঙা ট্রলি জোটে। ভাঙা ট্রলিতে তুলতে না পেরে মুমূর্ষু শিশুকে কোলে নিয়েই হাসপাতালের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে বেড়াতে হয়।
কখনও শিশুর ঠাঁই হল গাছের ছায়ায়। কখনও ছটফট করতে থাকা শিশুকে একটু স্বস্তি দিয়ে ভরসা তখন হাতপাখা। এমনকী, সিটি স্ক্যান করাতে গিয়েও ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগীকে ওয়ার্ড থেকে পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১২টা অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। রোগী যেন অ্যাম্বুল্যান্স পান, সেই তদারকি করার দায়িত্ব নার্সদের। কেন গাফিলতি তা জানতে সোমবার সংশ্লিষ্ট বিভাগের নার্স ও সিস্টার ইনচার্জকে তলব করা হয়েছে।
প্রায় একই ছবি দেখা গেল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও। করোনা বিধিকে তোয়াক্কা না করেই কোনও রকম সুরক্ষা ছাড়াই ইউএসজি করাতে ইডেন বিল্ডিং থেকে ডেভিড হেয়ার বিল্ডিং পর্যন্ত কোলে করে নিয়ে যেতে হচ্ছে সদ্যোজাতদের।
পাশেই গ্রিন বিল্ডিং ও সুপার স্পেশালিটি ব্লক। সেখানেই চলছে করোনা রোগীদের চিকিৎসা। ডাক্তার-নার্স ছাড়াই, নবজাতকদের এভাবেই নিয়ে যাচ্ছেন বাবারা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এসএনসিইউ-তে বেশ কিছু পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। কিছু ক্ষেত্রে উন্নত পরীক্ষার জন্য রেডিওলজি বিভাগে নিয়ে যেতে হলে, ইনকিউবেটর ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা আছে। তাও কেন এমনটা হচ্ছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।