আবীর দত্ত, কলকাতা: রাস্তা থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা কুড়িয়ে পেয়েও তা ফিরিয়ে দিলেন ফুড ডেলিভারি বয়। আর এমন সততার পরিচয় দিয়ে মন জিতলেন বছর ২৩-এর অজিত কর্মকার। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতয়। উইকেন্ডে কাজের চাপ ছিল, ছিল সময় মতো খাবার পৌঁছনোর তাড়াও। তবে দায়িত্ব পালনে পিছ পা হলেন না তরুণ।
একটি ফুড ডেলিভারি সংস্থায় ডেলিভারি বয়ের কাজ করেন বছর ২৩-এর অজিত কর্মকার। শনিবার বেলেঘাটা মেইন রোড দিয়ে খাবার পৌঁছে দিতে কাস্টমারের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন অজিত। সিআইটি রোডের কাছে পৌঁছতেই থামতে হয় তাঁকে। তিনি দেখতে পান একটি প্যাকেট পড়ে রয়েছে রাস্তার ধারে।
সেটি হাতে নিয়ে খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ। দেখা যায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট- সহ ১০,২০০ টাকা নগদ রয়েছে সেই প্যাকেটে। সঙ্গে সঙ্গে প্যাকেটটি নিয়ে বেলেঘাটা থানায় পৌঁছে যান অজিত। অক্ষত অবস্থায় থানায় জমা দেন প্যাকেটটি। ডকুমেন্টে লেখা ছিল লাল মোহন দাসের নাম। খোঁজ খবর করে ট্যাংরার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে খবর দেয় পুলিশ। এর পর লাল মোহন দাস এসে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ ব্যাগটি ফেরত নিয়ে যান।
এমন কাজের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছে অজিত। তাঁকে বাহবা দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরাও। এমন কাজের জন্য ওই ফুড ডেলিভারি বয় অজিত কর্মকারকে পুরস্কৃত করা হবে বলেও ঠিক করেছে পুলিশ। এমন কাজের জন্য ডিসি ইএসডি প্রিয়ব্রত রায়, তাঁকে একটি শংসাপত্র দেন। ঘটনা প্রসঙ্গে, অজিত কর্মকার জানিয়েছেন, 'ব্যাগ পেয়ে সোজা থানায় যাই, কারণ এটাই উচিৎ।'
টাকার ব্যাগ ফেরত দিতে গিয়ে ঠিক কতটা দেরি হয়েছিল অজিতের তা জানা নেই। যাঁদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে অজিত যাচ্ছিলেন, দেরি হওয়ায় তাঁরাও অজিতকে কিছু বলেছিলেন কিনা সে খবরও আর প্রকাশ্যে আসেনি। তবে অজিতের এই সততা নজিরই বটে। সবমিলিয়ে অজিতের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষা নেওয়ার মতোই ঘটনা।