কলকাতা: ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করল পুলিশ।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের তদন্তে নেমে গত ২৭ তারিখ মাদুরদহে দেবাঞ্জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে একটি ব্যাগের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় বিএসএফ-এর ইউনিফর্ম। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের।
সম্প্রতি, হাইকোর্টে ভ্যাকসিনকাণ্ড মামলার হলফনামা পেশ করে রাজ্য সরকার। সেখানেই তারা এই উর্দি উদ্ধারের বিষয়টি খোলসা করে।
পুলিশের দাবি, বিএসএফ তরফে দেওয়া হয়েছে বলে কর্মীদের জানায় দেবাঞ্জন। যদিও, তদন্তকারীদের অনুমান, সম্ভবত বিএসএফের পরিচয়েও প্রতারণার ছক ছিল দেবাঞ্জনের।
কী উদ্দেশ্যে বিএসএফের উর্দি রেখেছিল দেবাঞ্জন বা ব্যাজ লাগানো বিএসএফের উর্দি কোনও অফিসারের কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএসএফ-ও। সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশকে জানানো হয়েছে সঠিক তদন্ত হোক। এই ঘটনায় বাহিনীর কেউ যুক্ত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে বিএসএফ।
গতকাল হাইকোর্টে দেওয়া হলফনামায় রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কোভিশিল্ডের নীচে অ্যামিকাসিনের স্টিকার পাওয়ার পাশাপাশি, স্পুটনিক ভি-র স্টিকারের নীচে মিলেছে ট্রায়ামসিনোলোন অ্যাসিটোনাইড বা ন্যাডিকোর্ট স্টেরয়েড ইঞ্জেকশনের স্টিকার।
তবে ঠিক কী ধরনের তরল ব্যবহার করা হয়েছে, তা পরীক্ষা করা যায়নি। ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ। এদিনই বাজেয়াপ্ত করা ভায়াল পাঠানো হল নাইসেডে।
সেখানে পরীক্ষা করে দেখা হবে, উদ্ধার হওয়া ভায়ালগুলোতে কোভিশিল্ড ও স্পুটনিকের নামে কী ধরনের কম্পোজিশন ব্যবহার করা হয়েছে। এনিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্টেট ফরেন্সিক টিম।
এদিকে, গতকাল রাতে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবের আরও এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম ইন্দ্রজিত্ সাউ। ট্যাংরার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দেবাঞ্জনের সংস্থায় কাজ করতেন।
পুলিশের দাবি, সিটি কলেজে ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজক ছিলেন ইন্দ্রজিত্। তিনিই দেবাঞ্জনকে সিটি কলেজের ক্যাম্পে নিয়ে যান।
গতকাল সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের কাছে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট থেকে দেবাঞ্জনের ওই সহযোগীকে গ্রেফতার করে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ। আর কোথায় দেবাঞ্জন ভুয়ো ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলেন, ইন্দ্রজিৎকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা চলছে।