কলকাতা: বাঁচাতে হবে করোনা আক্রান্ত মরণাপন্নকে। উদভ্রান্তের মতো থাকা রোগীর আত্মীয়দের এমন  পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যে রেমডেসিভিরের কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে।


রেমডেসিভির কালোবাজারির অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৩২ ভায়াল রেমডেসিভির। 


পুলিশের দাবি, রেমডেসিভির কালোবাজারির নেপথ্যে কাজ করছে একটি প্রতারণা চক্র। অভিযোগ, এই চক্র বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে রোগীর পরিজনেদের ফাঁদে ফেলে রেমডেসিভির বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। 


গড়িয়াহাটের বাসিন্দা শঙ্কর সিংহ অভিযোগ করেন, ২৭০০ টাকার ভায়ালের জন্য তাঁর কাছে ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তদন্তে নেমে গতকাল সাদা পোশাকে একবালপুর থানা এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। 


রেমডেসিভির কালোবাজারির অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের জেরা করে পরে হেস্টিংস এলাকা থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। 


কালোবাজারির অভিযোগ ওঠার পরই রেমডেসিভিরের যোগান নিয়ে কিছুটা আশ্বস্ত করে রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমরা গত কয়েকদিনে রেমডেসিভিরের যোগান কিছুটা পেয়েছি। পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছি। 


সম্প্রতি রেমডেসিভিরের নামে রাজ্যে বাংলাদেশের ওষুধ বিক্রি করার একটি চক্রও সামনে আসে। অভিযোগ, সাড়ে ৪ হাজারের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে ১৮ হাজার টাকায়।


গত এক মাসে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ১২শো জাল রেমডেসিভির ওষুধ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া জাল ওষুধগুলির মধ্যে নুন ও গ্লুকোজ রয়েছে। 


অন্যদিকে, করোনাকালে ওষুধের কালোবাজারি রুখতে সব রাজ্যকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে সুপ্রিমকোর্টে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।


শুধু রেমডেসিভির নয়, ওষুধের পাশাপাশি, কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে অক্সিজেন ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের অপরিহার্য যন্ত্রাংশ ফ্লো-মিটার নিয়ে।


খাস কলকাতায় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের চত্বরের মধ্যে ফ্লো-মিটার নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। দাম চাওয়া হচ্ছে প্রায় ১০ গুণ। 


মানুষ যখন বিপদে, তখন মনুষ্যত্ব ভুলে বেশি মুনাফা লুঠ করার চেষ্টায় এক শ্রেণির মানুষ।