সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: শারদ প্রাতে আকাশে মেঘের ঘনঘটা। আশ্বিনের সকালে বর্ষার ধারাপাত। বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে আজ থেকে রাজ্যে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। রবি ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাতেও আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হবে। 


শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। মায়ানমার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এর অবস্থান। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় এটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে অবস্থান করবে। ফলে, আরও একবার উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা। 


মধ্যপ্রদেশে গভীর নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রাজস্থানে রয়েছে  আরো একটি ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি, মৌসুমী অক্ষরেখা ভুবনেশ্বর হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ফলে, গতকাল কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আদ্রতা জনিত অস্বস্তি কিছুটা বাড়বে। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা।


আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব। প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায়। ফলে, শনিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। রবি ও সোমবার মেঘলা আকাশ দিনভর দফায় দফায় বৃষ্টির পূর্বাভাস গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে। 


এই ঝড়বৃষ্টির কারণ হিসেবে আবহাওয়া দফতরের সূত্রে খবর, মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে।  এর সঙ্গে রয়েছে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব। এর ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে।  তারই জেরে শনিবার থেকে বজ্রবিদ্যুত্‍সহ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছিল। 


মূলত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। উপকূলের দুই জেলা -- উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টি চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।