সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে রথযাত্রা নিয়ে অভিনব সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা ইসকন কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, এবার রথে নয়, গাড়িতে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। এসকর্ট করবে কলকাতা পুলিশের পাইলট কার।


মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ভোগ নিবেদন এবং আরতির পর শুরু হবে এই অভিনব রথযাত্রা। ২ বছর পর অ্যালবার্ট রোড থেকে গুরুসদয় দত্ত রোডে মাসির বাড়িতে যাবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। 


করোনা আবহে ভার্চুয়ালি রথযাত্রা দেখার পরামর্শ দিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, জানানো হয়েছে, কোভিড বিধি মেনে রথযাত্রার দিন মাসির বাড়িতে বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত করা যাবে জগন্নাথ দর্শন।


করোনা আবহে একের পর এক ঐতিহ্যের রথযাত্রা স্থগিত হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক রথযাত্রার চিরাচরিত নিয়ম ও প্রথা পাল্টে যাচ্ছে। 


যেমন গত বছরের মতো এবারও গড়াবে না হুগলির মাহেশের রথের চাকা। এবছর ৬২৫ বছরে পা দেবে মাহেশের রথযাত্রা। ভারতের দ্বিতীয় ও বাংলার সবচেয়ে পুরনো মাহেশের রথ।  


মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অস্থায়ী ভাবে জগন্নাথ মন্দিরের পাশে তৈরি হবে মাসির বাড়ি। সেখানেই রাখা হবে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে। নিয়মমাফিক হবে পুজো। শুধুমাত্র শালগ্রাম শিলাকে নিয়ে যাওয়া হবে ১ কিলোমিটার দূরে মাসির বাড়িতে। 


একইভাবে, গত বছরের মতো এবারেও গড়াবে না পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের ২৪৫ বছরের পুরনো রথের চাকা। করোনা পরিস্থিতিতে এবারও জাঁকজমকহীনভাবেই রথযাত্রা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজপরিবার ও জেলা প্রশাসন। 


এবছর রথের বদলে পালকিতে করে, রাজবাড়ির মন্দির থেকে দেবদেবীদের নিয়ে যাওয়া হবে মাসির বাড়ি। উল্টোরথের দিনও একইভাবে পালকি করে ফিরবেন তারা।  প্রশাসন জানিয়েছে, ভিড় এড়াতে এলাকায় মাইকে প্রচার করা হবে। রথতলা রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল।   


প্রতি বছরই, রথের দিনটি তারাপীঠ মন্দিরে বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। মা তারাকে রথে বসিয়ে, রশিতে টান দেন ভক্তরা। করোনা আবহে, গতবছর এই রীতিতে ছেদ পড়ে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবছরও তারাপীঠে হবে না রথের অনুষ্ঠান।