কলকাতা: সদ্যোজাত সন্তানকে রেখেই পরীক্ষার হলে চাকরিহারা শিক্ষক। আশুতোষ কলেজে পরীক্ষায় বসলেন চাকরিহারা শিক্ষক ব্রতীশা ঘোষ। নবম-দশম ও একাদশ দ্বাদশ, দু'দফাতেই পরীক্ষা। ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশমের পরীক্ষার সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ৮ সেপ্টেম্বর সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন ব্রতীশা। গতকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আজ পরীক্ষার হলে গেলেন ব্রতীশা ঘোষ। 

আরও পড়ুন, পার্টি অফিসে ঢুকে BJP নেতাকে 'জুতোপেটা' করলেন খোদ দলেরই কাউন্সিলর !

এদিন এবিপি আনন্দ-কে ব্রতীশা ঘোষ জানিয়েছেন, আমার গত ৮ তারিখ সিজার হয়েছে। আর কালকে আমি ডিসচার্জ হয়েছি। আজকে পরীক্ষা দিতে এসেছি। বাচ্চা বাড়িতেই আছে। বাড়ির লোকের কাছেই আছে। হেসে বলেন ব্রতীশা।

প্রশ্ন: আগের রবিবার পরীক্ষায় বসেছিলেন ?

ব্রতীশা ঘোষ: আগের রবিবার পরীক্ষায় বসেছিলাম।

প্রশ্ন: তখন ?..

ব্রতীশা ঘোষ: তখন আমি প্রেগন্যান্ট ছিলাম। তখন আমার ডেলিভারি হয়নি। ৮ তারিখেই ভর্তি হই।..ছেলে হয়েছে। কালকে ডিসচার্জ পাই। আজকে পরীক্ষা দিতে এসেছি।

প্রশ্ন: হাসপাতালে আপনি পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন ?

ব্রতীশা ঘোষ: না সেভাবে সুযোগ পাইনি। পুরোটাই নিজের নলেজের উপর ..

নির্বিঘ্নে শেষ হল SSC-র একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। ফের পরীক্ষায় বসলেন দুহাজার তেইশে চুল কামিয়ে প্রতিবাদ করা পাঁশকুড়ার রাসমণি পাত্র। বাঁকুড়ায় শিরদাঁড়া বিক্রি নেই টিশার্ট পরে পরীক্ষা দিলেন ২ পরীক্ষার্থী। নবম-দশমের পরীক্ষার মতো এদিনও এরাজ্যের লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি পরীক্ষা দেন উত্তরপ্রদেশ-সহ ভিনরাজ্যের পরীক্ষার্থীরা। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 

৯ বছর পর পরীক্ষা হচ্ছে SSC-র। গত ৭ তারিখ পরীক্ষা হয় নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের। রবিবার হল একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য SSC-র শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। একবার যোগ্য প্রমাণিত হয়েও ফের পরীক্ষায় বসতে এসে ক্ষোভ উগরে দিলেন অনেকেই।চাকরিহারা 'যোগ্য' শিক্ষক ও SSC পরীক্ষার্থী  মেহবুব মণ্ডল বলেন, '৭ বছর চাকরি করার পর, নিরাপরাধ হওয়ার পর, সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে যাওয়ার পর চাকরি চলে গেছে! তাদেরকে আবার নতুন করে অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে আবার পাস করে দেখাতে হবে। এটা খুব কঠিন কাজ!  রাষ্ট্রীয় অরাজকতা, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি এবং বিচারব্যবস্থার অপদার্থতার জন্য যাদের চাকরি গেল, তাদের জীবনজীবিকা, তাদের সাংবিধানিক অধিকারগুলো কোথায় যাবে, কীভাবে যাবে? ' 

রবিবার পরীক্ষা হল একাদশ-দ্বাদশের ১২ হাজার ৫১৪টি শূন্য়পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য। পরীক্ষার্থীর সংখ্য়া ছিল ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫০০। পরীক্ষা নেওয়া হল ৪৭৮টি কেন্দ্রে।প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তা ছিল জোরদার কড়াকড়ি ছিল নিয়মের।