কলকাতা: করোনা আবহে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা। 


ঘরবন্দি অবস্থায় করোনায় মৃত ছেলের দেহ আগলে রয়েছেন কোভিড-১৯ আক্রান্ত পক্ষাঘাতগ্রস্ত বৃদ্ধা মা। ঠাকুরপুকুরের চন্দ্রপল্লি এলাকার ঘটনা।


স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনকয়েক আগে মা-ছেলে দু’ জনেই করোনা আক্রান্ত হন। সোমবার থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। 


গতকাল খবর পেয়ে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দেখা যায়, করোনায় মৃত ছেলে কমল দে-র দেহ আগলে ঘরেই পড়ে রয়েছেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত মা। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মাকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


একদিকে, কলকাতায় যখন এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে, ঠিক তখন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে উঠে এল এক অমানবিকতার ছবি। 


শ্বাসকষ্টে বাবার মৃত্যু হওয়ার দীর্ঘসময়  ধরে পড়েছিল দেহ। কারণ, বৃদ্ধের ছেলে করোনা আক্রান্ত। সংক্রমণের আশঙ্কায় মুখ ফিরিয়ে নেন প্রতিবেশীরা। শেষে হওয়ায় ১৩ ঘণ্টা পরে উঠল বাবার দেহ। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনসাতেক ধরে করোনা আক্রান্ত ছেলে। গতকাল তাঁর বাবা ৭০ বছরের পঞ্চানন ঘোষের মৃত্যু হয়। ১২ ঘণ্টা ধরে বাড়ির বাইরে রাখা আছে দেহ। 


খবর পেয়ে আজ সকালে ওই এলাকায় যান তৃণমূলেরর ধূপগুড়ি শহর সভাপতি দেবদুলাল ঘোষ ও ডিওয়াইএফআই নেতা নির্মাল্য ভট্টাচার্য। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিং কোভিড প্রোটোকল মেনে দেহ সৎকার করা হবে।


অন্যদিকে, বালুরঘাটের বাসন্তীবাগানে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বাড়িতে করোনা আক্রান্তের দেহ পড়ে থাকার ঘটনা সামনে এসেছে।


পরিবার সূত্রে খবর, ৮ মে ৬৫ বছরের ঊষারানি সূত্রধরের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর থেকে তিনি হোম আইসোলেশনে ছিলেন।


গতকাল রাত ১২টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, তারপর থেকে স্বাস্থ্য দফতর ও পুর প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। দেহ পড়ে রয়েছে বাড়িতেই।


সংক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছেন প্রতিবেশীরা। এনিয়ে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।