কলকাতা: গুরু নানকের জন্মদিনে মাস্টারস্ট্রোক প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (narendra modi)। ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেন তিনি। সেই নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (sougata roy) বললেন, ''এই ঘোষণায় আমি ভীষণভাবে আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রীর বোধদয় হয়েছে। কৃষকরা আন্দোলন করেছিলেন। দিল্লির বাইরে মরণপন লড়াই করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশে প্রচুর কৃষকের প্রাণ গিয়েছে। লখিমপুরে বিজেপি মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির তলায় চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন কৃষকরা। এত কিছুর পর যে এই বিষয়টা প্রধানমন্ত্রী (prime minister) বুঝেছেন, এটাই অনেক বড়়। এটা গণতন্ত্রের জয়।''
চলতি বছরে চতুর্থবার দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখলেন নরেন্দ্র মোদি। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি গুরু নানকের আবির্ভাব দিবসে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, "দেড় বছর পর খুলে গিয়েছে কর্তারপুর করিডর। আমাদের সরকার সেবা ভাবনায় চলে। কৃষকদের অসুবিধাকে কাছ থেকে দেখেছি। কৃষক কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। দেশের বেশিরভাগ কৃষক ক্ষুদ্র কৃষক। এই সব কৃষকদের জীবন আটকে ছোট মাপের জমিতে। প্রজন্মর পর প্রজন্ম সেই জমি উত্তরাধিকার সূত্রে আরও ছোট হয়েছে।" তিনি যোগ করেন, "বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফসল বিমা যোজনার মধ্যে অনেক বেশি কৃষককে আনা হয়েছে। কৃষকদের সহজে ক্ষতিপূরণ দিতে নিয়ম সংশোধন করা হয়েছে।"
২০২০-র সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত কৃষি আইন সংসদের উভয় কক্ষে পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরই রাস্তায় নামেন কৃষকরা। হরিয়ানা, পাঞ্জাবের কৃষকদের মিছিল এসে হাজির হয় রাজধানীর দরজায়। কংগ্রেস সহ বিরোধীরাও সরব হয় ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে। আগামী বছরের শুরুতেই রয়েছে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, গোয়ার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, বছরের শেষে এসে কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট ওই তিনটি কৃষি আইন কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
এদিকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া কু-তে কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর পোস্ট করা হয়েছে। দেখে নিন সেই পোস্টটি।
আরও পড়ুন: 'দলে কেউ প্রতিবাদ করলেই, তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলছেন মমতা' কটাক্ষ দিলীপের